ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৩ সালের জুন মাসে এক টিভি অভিনেত্রীকে হত্যার (Rangareddy TV Actress Murder Case) দায়ে বুধবার রাঙ্গারেড্ডি জেলা আদালত অভিযুক্ত পুরোহিত কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান দিয়েছে।
হত্যার পর সিমেন্ট দিয়ে সিল (Rangareddy TV Actress Murder Case)
দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি, ইয়াগরী ভেঙ্কট সাঁই কৃষ্ণ, অভিনেত্রী কুরুগন্তী অপ্সরাকে (Rangareddy TV Actress Murder Case) হত্যা করে তার দেহ একটি অচল ম্যানহোলে ফেলে দেয়। তারপর সেই ম্যানহোলটি লাল মাটি ও সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেয়।
কারাদণ্ডের সঙ্গে জরিমানা (Rangareddy TV Actress Murder Case)
আদালত এই ব্যক্তিকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও (Rangareddy TV Actress Murder Case) করেছে। এছাড়া মৃত অভিনেত্রীর পরিবারকে ৯.৭৫ লক্ষ টাকা এবং আদালতকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Engineer Rashid: দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, রশিদকে জেল থেকেই যেতে হবে সংসদে!
কেন করলেন খুন?
তদন্ত মারফত জানা গেছে যে, অপ্সরা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আগে থেকেই ওই পুরোহিত বিবাহিত ছিলেন। অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হবার পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সময় গড়াতেই অপ্সরা ওই পুরোহিতকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পেরে অপ্সরাকে খুন করেছেন ওই পুরোহিত।
মায়ের মাধ্যমেই আলাপ
আরও জানা গেছে, অপ্সরার মা প্রায়ই ওই মন্দিরে যেতেন যেখানে ওই অভিযুক্ত পুরোহিত পুজো করতেন। মায়ের মাধ্যমেই পরিচয় হয় দুজনের। ঘটনার দিন তাই কৃষ্ণ অপ্সরাকে তার বন্ধুদের সঙ্গে কোয়েম্বাটুর ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে শামশাবাদে নিয়ে যান। একটি নির্মীয়মান বহুতলের কাছেই অভিনেত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেন ওই পুরোহিত।
দুর্গন্ধ এড়াতে রাম ফ্রেশনার
সরুরনগরে বাড়ি ফিরে আসার পর ওই পুরোহিত তার পার্কিং স্লটে দুদিন ধরে দেহটিকে গাড়িতেই রেখেছিল। দুর্গন্ধ যাতে না বেরোয় তার জন্য সে প্রতিদিন রুম ফ্রেশনার স্প্রে করত। তারপর সে তার বাড়ির কাছে একটি সরকারি অফিস কমপ্লেক্সের সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহটি ফেলে দেয় এবং বালি ও সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে দেয়।
নিখোঁজ হবার মিথ্যে ডায়েরি
এখানেই শেষ নয় এরপর সে মৃত অভিনেত্রীর নামে নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করে থানায়। মৃতার মাকে সে নিজের বোন এবং মৃত অভিনেত্রীকে নিজের ভাগ্নি বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু শেষমেষ পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারেনি ওই ব্যক্তি। তদন্ত এবং প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সত্যিটা খুঁজে বার করে এবং তাকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেয়।