ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Ratha Yatra 2025) ‘রথযাত্রা নির্দিষ্ট তিথিতেই পালিত হোক’: পুরী মন্দিরের কড়া বার্তা ইসকনকে! ও রথযাত্রা শুধু আস্থার নয়, শাস্ত্রানুসারে নির্ধারিত একেকটি গুরুত্বপূর্ণ আচার। আর সেই ধর্মীয় শৃঙ্খলা যেন ঠিকভাবে রক্ষা হয়, তা নিশ্চিত করতে এবার ইসকনকে চিঠি পাঠালো পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। ওড়িশার জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব এক খোলা চিঠিতে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনুরোধ করেছেন, বিশ্বজুড়ে ইসকনের যেসব মন্দির জগন্নাথের রথযাত্রা বা স্নানযাত্রা আয়োজন করে, তারা যেন নির্দিষ্ট তিথি বা দিনে এই আচারগুলো পালন করে।
শাস্ত্রসিদ্ধ নয় (Ratha Yatra 2025)
ডেকান হেরাল্ডের একটি প্রতিবেদনে (Ratha Yatra 2025) জানানো হয়েছে, এই চিঠি ইসকনের মায়াপুর কেন্দ্রের গভর্নিং বডি কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী গোবর্ধন দাস প্রভুকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, ইসকনের পরিচালনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু মন্দির নির্ধারিত দিনের বাইরে এই ধর্মীয় আচারগুলো পালন করছে, যা শাস্ত্রসিদ্ধ নয়।
ধর্মীয় বিধি লঙ্ঘনের সামিল! (Ratha Yatra 2025)
বিশেষ করে, নিউ ইয়র্ক, ক্যালগারি এবং লিসেস্টারের (Ratha Yatra 2025) ইসকন মন্দিরগুলোর অনুষ্ঠানের তারিখ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গজপতি মহারাজা। তিনি দাবি করেন, এই ধরনের আয়োজন প্রথা-বিরুদ্ধ এবং ধর্মীয় বিধি লঙ্ঘনের সামিল। চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ২০ মার্চ ভুবনেশ্বরে এক বৈঠকে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের অন্তর্গত পণ্ডিতরা ইসকনের প্রতিনিধিদের মতামত বিশদে পর্যালোচনা করেছেন। সেই আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়, স্নানযাত্রা কেবল জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথিতে, এবছর ১১ জুন এবং রথযাত্রা আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত অর্থাৎ ২৭ জুন থেকে ৫ জুলাই পালনযোগ্য। এর বাইরে কোনও দিন এই আচার করলে তা নিয়মভঙ্গ বলে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: WB Weather Today: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বর্ষার দাপট, হুড়মুড়িয়ে কমবে তাপমাত্রা!
পুরীর মন্দির প্রশাসনের তরফে ইসকনকে এই বার্তাটি তাই স্পষ্ট, জগন্নাথদেবের আচার-অনুষ্ঠান কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, তা শাস্ত্রসম্মত একটি পবিত্র অনুশাসন। সেই নিয়মকে মেনে চলা, বিশেষত একটি ধর্মীয় সংগঠনের কাছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, ইসকনের তরফে এই বার্তার কী প্রতিক্রিয়া আসে এবং তারা আদৌ ভবিষ্যতে তিথি অনুযায়ী অনুষ্ঠান পালনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় কি না। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও বৈদিক শৃঙ্খলার এই আলোচনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে।