ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ত্রিপুরার বিজেপি সরকার দমকল (Recruitment Test Cancelled) দফতরে নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষাটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পরীক্ষকদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভুল এবং গোলমাল শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে।
বাতিল পরীক্ষা (Recruitment Test Cancelled)
দমকল এবং জরুরি পরিষেবা দফতরের জন্য (Recruitment Test Cancelled) এই লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। তবে, সরকারের তরফ থেকে ২০২২ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও, দুই বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফল প্রকাশের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভও দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষাটি বাতিল হওয়ায় তাদের মধ্যে নতুন করে হতাশা দেখা দিয়েছে।
চাকরি বাতিলের নির্দেশ (Recruitment Test Cancelled)
বৃহস্পতিবার, রাজ্যের আদালতে সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ২৬ হাজার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে, যা ত্রিপুরার শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এই রায়ের পর থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চাকরির পরীক্ষার বাতিল হওয়া বিষয়টি নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দেবে।
চাকরি পাওয়ার দাবিতে রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা
বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যেই তাদের অধিকার এবং চাকরি পাওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকারের এই পদক্ষেপ তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চাকরির সুযোগগুলো একের পর এক সংকটে পড়ছে, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা তৈরি করছে।
বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত
ত্রিপুরার বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত এবং গতকালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চাকরির বাজারের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। চাকরিপ্রার্থীরা আগেই বহু সময় অপেক্ষা করেছেন এবং এখন তারা নতুন করে চাকরির পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এটি তাদের জন্য একটি বড় চাপ তৈরি করছে এবং একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে সরকারের কার্যকারিতা এবং পরিকল্পনা নিয়ে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকুক, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের!
প্রতিশ্রুতির ব্যর্থতা
এই ঘটনা ত্রিপুরার রাজনৈতিক মঞ্চেও প্রভাব ফেলবে, কারণ বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাদের অঙ্গীকারগুলোর প্রতিশ্রুতির ব্যর্থতার কথা বলছেন। চাকরির নিশ্চয়তা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক পরিচালনা নিয়ে আলোচনা বাড়ছে, যা আগামী দিনে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।