ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Case) কলেজের চিকিৎসক-ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ফের চাঞ্চল্যকর মোড়। নির্যাতিতার মৃত্যু ঘটার কয়েক মাস পরেও তাঁর মোবাইল নম্বর ব্যবহার হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করল পরিবার। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে মুখবন্ধ খামে একটি ‘সিনপসিস’ জমা দিয়ে এই অভিযোগ আনেন তাঁরা।
প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Case)
পরিবারের দাবি, এক হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের কার্যকলাপ থেকে (RG Kar Case) তাঁরা জানতে পেরেছেন, মেয়ের মোবাইল নম্বর মৃত্যুর পরেও ব্যবহৃত হয়েছে। অথচ জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর নির্যাতিতার মোবাইল ফোন প্রথমে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ এবং পরে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে গেলে, সেই ফোন এখনও তাদের হেফাজতেই রয়েছে। সেই অবস্থায় মোবাইল নম্বর থেকে কীভাবে হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহৃত হল, তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার।
কোনও উত্তর মেলেনি (RG Kar Case)
শিয়ালদহ আদালতের বিচারক এ প্রসঙ্গে বলেন, যদি পরিবারের কিছু (RG Kar Case) জানাবার থাকে, তবে তা যেন সিবিআইকে জানানো হয়। যদিও সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, পরিবার যদি কোনও তথ্য দিতে চায়, তা তাঁরা আগেও দিতে পারতেন। পরিবার জানায়, একাধিক তথ্য তারা সিবিআইকে আগেই দিয়েছে, তবে তার ফল কী হয়েছে, কোনও উত্তর মেলেনি।
হাই কোর্টে মামলা
পরিবারের আইনজীবী জানান, “ঘটনার পর তদন্তকারী অফিসারকে একবার দেখা গিয়েছিল। তারপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছি না। হাই কোর্টে মামলা চললেও, এখন আমাদের সামনে বড় প্রশ্ন, কাকে বিশ্বাস করব?”

ডিএনএ সংক্রান্ত তথ্যও রয়েছে
উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘সিনপসিস’-এ পরিবার প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ঘটনাক্রম তুলে ধরেছে। সূত্রের খবর, তাতে ডিএনএ সংক্রান্ত তথ্যও রয়েছে। সিবিআই এই ‘সিনপসিস’ ও তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালতে। তারা জানায়, যেহেতু মামলাটি হাই কোর্টে বিচারাধীন, ঘন ঘন ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
আরও পড়ুন: Sealdah TT: রেলের উদ্যোগে কোডযুক্ত ব্যাজ, ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের দিন শেষ!
আগামী ১০ জুন সিবিআইকে পরবর্তী ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও সিবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, চিকিৎসক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হননি, তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন এক জন। সেই রিপোর্ট নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। ফলে, এই নতুন মোড় রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে।