ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ আন্দোলনের (RG Kar Issue) সময় টাকা তোলার অভিযোগে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদন করা হয়েছিল, সেই অনিকেত মাহাতো-সহ ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের একাধিক সদস্যকে অবশেষে স্বস্তি দিল বিধাননগর মহকুমা আদালত। রাজু ঘোষ নামে এক ব্যক্তির করা অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মামলার কোনও প্রাথমিক ভিত্তি মেলেনি।
ঘটনার সূত্রপাত… (RG Kar Issue)
ঘটনার সূত্রপাত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র (RG Kar Issue) আন্দোলনের সময়। আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়ে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ ব্যানারে জনমত গড়ার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন রাজু ঘোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই সময় জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি অংশ বাজার থেকে টাকা তুলেছিলেন, কিন্তু সেই টাকার যথাযথ হিসাব বা কোনও রশিদ দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি নিজেও পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
প্রতারণার সামিল! (RG Kar Issue)
রাজু ঘোষের দাবি ছিল, এই টাকা আন্দোলনের উদ্দেশ্যে না ব্যবহার করে অন্য কোনও খাতে খরচ করা হয়েছে, যা প্রতারণার সামিল। তাই অনিকেত মাহাতো-সহ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে FIR রুজু করা হোক—এই আবেদন নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট
আদালত সেই আবেদনের ভিত্তিতে পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে অভিযোগের পক্ষে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি। এরপরই আদালত জানিয়ে দেয়, মামলার কোনও প্রাথমিক ভিত্তি নেই, তাই FIR দায়েরের আবেদন খারিজ করা হল।
ডক্টর্স ফ্রন্টের বড় জয়
এই রায়কে বড় জয় হিসেবে দেখছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। অনিকেত মাহাতো শুরু থেকেই দাবি করে এসেছেন যে তাঁদের আর্থিক কার্যক্রমে কোনও গোপনীয়তা বা দুর্নীতি নেই। আন্দোলনের স্বচ্ছতা নিয়েই তাঁরা মানুষের কাছে গিয়েছিলেন, এবং প্রতিটি দান সঠিক খাতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে বারবার জানিয়েছেন।
বক্তব্যের আইনি স্বীকৃতি
আদালতের এই রায় সেই বক্তব্যেরই আইনি স্বীকৃতি বলে মনে করছেন ফ্রন্টের সদস্যরা। তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনের নৈতিক জোর আরও বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত হবে।
অনিকেত বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা শুরু থেকেই নির্দোষ ছিলাম, এবার আদালতও তা স্বীকৃতি দিল। সত্যি কখনও চাপা থাকে না।”