ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত বুধবার চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ভাইরাল ভিডিয়োয় (Kasba Incident) এক আন্দোলনকারীর পেটে লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল এসআই রিটন দাসকে। আর তাকেই ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে জানা যাচ্ছে লাথি মারা সেই এসআই-কে কসবাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল লালবাজার।
পেটে লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল রিটনকে (Kasba Incident)
গত বুধবার চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ভাইরাল ভিডিয়োয় এক আন্দোলনকারীর পেটে লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল রিটন দাসকে। পরে ওই দিনের ঘটনার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হন সেই রিটনই (Kasba Incident)। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তার মাঝেই শুক্রবার জানা গেল, প্রথমে রিটনকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও পরে কসবাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার বদলে দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভরতদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ (Kasba Incident)
বুধবার কসবার ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভরতদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযোগ, তালা ভেঙে তাঁরা ডিআই অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। চাকরিহারাদের অভিযোগ, তাঁদের বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। এক জনকে লাথিও মারা হয়েছে। ফলে সে দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। কসবার ঘটনার পর ডিআই নিজে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে যে এফআইআর হয়েছিল, তার তদন্তের দায়িত্বে প্রথমে রাখা হয়েছিল রিটনকে (Kasba Incident)। শুক্রবার সকালে সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন: Kasba Case: চাকরিহারাদের বিক্ষোভে ‘লাথি’ মারার অভিযোগ, তদন্তের দায়িত্ব পেলেন সেই এসআই রিটন
তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে
শুক্রবার জানা যাচ্ছে, কসবায় চাকরিহারা প্রার্থীকে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই-কে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পেয়েছেন অন্য এক এসআই। লালবাজার সূত্রে খবর, কসবার ঘটনার তদন্ত করবেন সঞ্জয় সিংহ। কসবা থানায় এসআই পদে আছেন তিনি। এর আগে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এসআই রিটন দাসকে। বহু বিতর্কের পর অবশেষে বদলে দেওয়া হল তাঁকে।
তদন্তের আইও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল
সব ক্ষেত্রে কর্তব্যরত অফিসারকেই আইও হিসাবে নিয়োগ করে না লালবাজার। ধর্ষণের ঘটনা বা পকসোর মতো স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা আইও হিসাবে উপযুক্তকে সুপারিশ করে থাকেন। কসবার ঘটনায় তা করা হয়নি। লালবাজার সূত্রে দাবি, বুধবার কসবার ডিআই অফিসের সামনে যখন চাকরিহারাদের বিক্ষোভ চলছিল, তখন দায়িত্বে ছিলেন এসআই রিটন। কর্তব্যরত অবস্থায় থাকায় তাঁকেই এই সংক্রান্ত তদন্তের আইও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তা বদলানো হয়েছে এবং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই সঞ্জয়কে।