ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আকাশ দীপ জো রুটকে এক অত্যাশ্চর্য বোল্ড করেন, কিন্তু রিপ্লেতে পরে জানা যায় যে এটি ব্যাক-ফুট নো-বল (Root Dismissal Triggers Controversy) ছিল, যা আম্পায়াররা মিস করেন। এই ঘটনা বিতর্কের জন্ম দেয়।
৬০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভেঙে পড়ল ইংল্যান্ড (Root Dismissal Triggers Controversy)
৬০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বার্মিংহ্যামে চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের অবস্থা হয় নাজেহাল (Root Dismissal Triggers Controversy)। ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ এবং আকাশ দীপ নতুন বলে আঘাত হানেন শুরুতেই। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৭২ রানে ৩ উইকেট। তবে এই তিনটি উইকেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করে জো রুটের আউট। রুটকে আকাশ দীপ ১৬ বলে মাত্র ৬ রানে বোল্ড করেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, সেই ডেলিভারিটি হয়তো একটি নো-বল ছিল।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আকাশ দীপের পিছনের পা (Root Dismissal Triggers Controversy)
জাস্ট স্টাম্প ভাঙার মুহূর্তে আকাশ দীপের পিছনের পা নাকি রিটার্ন ক্রিজের রেখায় লেগেছিল (Root Dismissal Triggers Controversy)। প্রাক্তন ইংল্যান্ড ব্যাটার জনাথন ট্রট জিওস্টারে বলেন, সেটি সম্ভবত একটি ব্যাক-ফুট নো-বল ছিল। তার বক্তব্যে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকে স্ক্রিনশট এবং ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে দাবি করেন, আকাশ দীপের পা রিটার্ন ক্রিজ ছুঁয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Djokovic shellshocked: উইম্বলডনের সেমিফাইনালে সিনারের দাপটের সামনে হার মানলেন জোকোভিচ
আইসিসি এবং এমসিসি-র নিয়ম কী বলে?
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেখা থাকে। সেগুলি হল পপিং ক্রিজ (সামনের পা) এবং রিটার্ন ক্রিজ (পিছনের পা)।
এমসিসি-র আইন ২১.৫ অনুযায়ী:
২১.৫.১ অনুযায়ী, ডেলিভারির সময় বোলারের পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজের ভেতরে পড়তে হবে এবং রেখাকে ছুঁতে পারবে না।
২১.৫.২ অনুযায়ী, সামনের পায়ের কিছু অংশ পপিং ক্রিজের পেছনে থাকতে হবে, এবং তা রেখার স্পর্শে থাকলে সমস্যা নেই।
অর্থাৎ, সামনের পায়ে কিছুটা নমনীয়তা থাকলেও, পিছনের পা যদি রিটার্ন ক্রিজ স্পর্শ করে, তবে সেটি নো-বল হিসেবে ধরা উচিত।
কেন ধরা পড়ল না নো-বল?
মাঠে থাকা আম্পায়ার সাধারণত সামনের পা দেখা ট্র্যাক করে থাকেন। পিছনের পা দেখা কঠিন, কারণ তা সাধারণত আম্পায়ারের পিছনে বা পাশে ঘটে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্তটি নেওয়ার জন্য তৃতীয় আম্পায়ার দায়িত্ব পান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, জো রুটের এই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার সময় তৃতীয় আম্পায়ার এই নো-বল নজরে আনেননি। এর ফলে, বিতর্কিত ভাবে আউট হয়ে যান ইংল্যান্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার। এই ঘটনায় ইংল্যান্ড শিবিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে, এবং এটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটি বড় মুহূর্ত বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।