ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিনোদিনী (Binodiini) ছবি করতে কম লড়াই করতে হয়নি রুক্মিণী (Rukmini Maitra) এবং ছবির পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়কে (Ram Kamal Mukherjee)। বেশ কয়েক বছরের লড়াই। ছবি মুক্তির আগেই স্টার থিয়েটারের নাম বদলে হল বিনোদিনী। অভিনেত্রী রুক্মিণীর মুখে বারংবার শোনা গিয়েছে, এই ঘটনায় স্বীকৃতি পেয়েছেন বিনোদিনী। আর এটা হওয়ার ছিল। থিয়েটারের নাম বদলের জন্য মানত করেছিলেন এই ছবির পরিচালক রামকমল। সেই মানত পূরণ হল। তাই দক্ষিণেশ্বরে রুক্মিণী এবং রামকমল যাবেন, গিয়ে ১৪০টি প্রদীপ জ্বালাবেন।
মানত পূরণ হয়েছে (Rukmini Maitra)
দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিনীর কাছে নিজের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন পরিচালক। (Rukmini Maitra) বলেছিলেন, স্টার থিয়েটারের নাম যেন বিনোদিনী দাসীর নামে পরিচিতি পায়। আর যেদিন সেই ঘটনা সত্যি হবে, সেদিন তিনি দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় প্রদীপ ভাসাবেন। তাঁর মানত পূরণ হয়েছে । গঙ্গায় প্রদীপ ভাসানোর সময়, পরিচালকের সঙ্গে থাকবেন পর্দার নটী অর্থাৎ রুক্মিণী মৈত্র।
প্রতারিত হয়েছিলেন বিনোদিনী (Rukmini Maitra)
সময়টা তখন ১৮৮৩ সাল। প্রতিষ্ঠিত হয় স্টার থিয়েটার। সেখান থেকে বিনোদিনীর নামে থিয়েটার করতে পেরিয়ে গেল ১৪১ বছর। ওই থিয়েটারের নাম প্রথম থেকেই হওয়া উচিত ছিল নটী বিনোদিনীর নামে। বিনোদিনী প্রতারিত হয়েছিলেন। পরিচালক রামকমল, মা কালীর কাছে মানত করার বিষয়টা রুক্মিণীকে (Rukmini Maitra) বলেছিলেন। থিয়েটারের নাম বদলাতেই অভিনেত্রী সেই কথা মনে করিয়ে দেন। তাই তাঁরা দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ (Binodiini – Ekti Natir Upakhyan) । তার আগেই হল মানত পূরণ।
আরও পড়ুন: Tahsan Roja Marriage: প্রকাশ্যে এল বিয়ের ছবি! তাহসান জুটি বাঁধলেন রোজার সঙ্গে
মায়ের কাছে যাচ্ছেন আশীর্বাদ নিতে
একটা সময় পরিচালক যখন স্টার থিয়েটারের নাম বদলে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতেন, তখন অনেকেই নাকি হাসাহাসি করত। তারা মনে করতেন, কিভাবে একটা হেরিটেজ সম্পত্তির নাম বদলে যেতে পারে? ছবির কাজ চলাকালীন, পরিচালকের বারবার মনে হয়েছে, যে অবিচার প্রতারণা বিনোদিনীর সঙ্গে হয়েছে, তার একটা প্রতিকারের দরকার । কিন্তু বাঙালি কোনও দিনই এই বিষয় নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামায়নি। বছর চল্লিশ আগে দিনেন গুপ্ত একটি মাত্র ছবি তৈরি করেছিলেন নটী বিনোদিনীকে নিয়ে। পরিচালক রামকমলের মানত ছিল, যত গুলো বছর বিনোদিনীর বঞ্চনায় কেটেছে, ততগুলো প্রদীপ তিনি জ্বালাবেন। তাই পরিচালকের সঙ্গে রুক্মিণীও মা কালীর কাছে যাচ্ছেন আশীর্বাদ নিতে।
আরও পড়ুন: Tahsan Khan Marriage: নতুন করে পথ চলা শুরু, বিয়ের পিঁড়িতে তাহসান খান! প্রকাশ্যে গায়ে হলুদের ছবি
রুক্মিণীর লড়াই
বিনোদিনী ছবিটি করতে রুক্মিণীকে কম লড়াই লড়তে হয়নি। একটা সময়, ছবির পোস্টার তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে করেছেন। রুক্মিণী মনে করেন, নারী কেন্দ্রীক ছবি বানানো অত সহজ নয়। ছবিটি বানাতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে। হিরোর বাজেটে হিরোইনের ছবি, তাও আবার বাংলায়। বহু প্রযোজক সেই সময় কথাটা শুনে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। তবে পরিচালককে বারংবার সাহস দিয়েছেন রুক্মিণী।