ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পর্দায় চিরন্তন সম্পর্কের গল্প বলতে আসছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। সেল্যুলয়েড ফিল্মসের নতুন ছবি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ (Haati Haati Paa Paa)। মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। ২০২৪ অভিনেত্রীর জন্য বেশ ভালো সময়। হাতে একের পর এক কাজ। নতুন ছবির গল্প অভিনেত্রীর ভীষণ ভালো লেগেছে । ছবিটিতে রয়েছে প্রচুর সারপ্রাইজ। ছবিটি পরিচালনা করছেন অর্ণব মিদ্যা।
কী বলছে অভিনেত্রী? (Haati Haati Paa Paa)
অভিনেত্রীর কথায়, “হাঁটি হাঁটি পা পা’-র (Haati Haati Paa Paa) গল্প যখন শুনি তখন কেন জানি না, গল্পটা আমাকে ভীষণ ভাবে ছুঁয়ে যায়। তারপর চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, কাঁটা ছেঁড়ার পরে আজ আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে যে দর্শকদের আমরা এইরকম একটা ছবি উপহার দিতে চলেছি। তাছাড়া অর্ণবের সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লেগেছে, সংবেদনশীল মানুষ, আর আমাদের গল্পটা যেহেতু সম্পর্কের গল্প, আমার বিশ্বাস ছবিটা ও খুব ভাল বানাবে। ওর আগের ছবিগুলোও আমার ভালো লেগেছে। আশা করি একটা ভালো সিনেমা হতে চলেছে যা অবশ্যই আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে।“
কী বলছেন পরিচালক? (Haati Haati Paa Paa)
পরিচালক অর্ণব মিদ্যার (Arnab Middya) কথায় “হাঁটি হাঁটি পা পা-র (Haati Haati Paa Paa) গল্প, চিত্রনাট্য নিয়ে আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে চলেছি। গল্পটা আসলে রুক্মিণীকে ভেবেই লেখা। একটা সম্পর্কের গল্পে যেমন হাসি-কান্না, ভালোলাগা-ভালোবাসা থাকে, এই গল্পটা আসলে তারই যথাযথ সংবেদনশীল মিশ্রণ। গল্পটার চিত্রনাট্য, সংলাপ লেখার সময় সেই সংবেদনশীলতারই পরিচয় দিয়েছেন কাহিনীকার প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার”।
আরও পড়ুন: Aditi Chakraborty: বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি, নতুন সংসার নিয়ে কোনও চিন্তাই নেই!
তিনি আরও বলেন, “রুক্মিণীকে যখন গল্পটা শোনাতে যাই, ওনার চোখেমুখে সেই অভিব্যক্তিগুলোই দেখতে পাই, যেগুলো যেকোনও পরিচালক সিনেমা দেখার শেষে দর্শকদের থেকে দেখতে চান। গল্পটা শুনে রুক্মিণীর রাজি হওয়া, তারপর একসঙ্গে দিনের পর দিন চিত্রনাট্য আর সংলাপ পরিমার্জনা, গল্পটাকে দর্শকদের মনের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে পারবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আর রুক্মিণী যেভাবে চরিত্রের প্রয়োজনে একটার পর একটা ছবিতে নিজেকে ভেঙেচুরে দর্শকদের সামনে মেলে ধরছেন, এই ছবিতেই সেইরকমই কিছু হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে আরও অনেক সারপ্রাইজ আছে, যা ক্রমশ প্রকাশ্য।“
আরও পড়ুন: Annwesha Hazra: হাসপাতালে ভর্তি আনন্দী, তবে কি ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাবে?
মূল গল্প
ভালোবাসা শুধু মাত্র সমবয়সী নারী পুরুষের প্রেম নয়। প্রতিটা সম্পর্কেই গভীর এক আত্মিক টান, দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে। সেই ভালোবাসার কথা বলবে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ যেসব সম্পর্কগুলো, সেইসব সম্পর্কেও রোজ রোজ ভালোবাসার কথা বলা হয় না বহুকাল। জীবনের টানা পোড়েনে ‘আছে কিন্তু নেই’ এর মতো ছায়া হয়ে থেকে যাওয়া সম্পর্কের ওপর থেকে ধুলোবালির চাদর আলতো হাতে সরিয়ে, আদর যত্ন ভালোবাসার আলপথ ধরে হেঁটেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে পৌঁছাবে এই গল্পের চরিত্ররা। পর্দায় ফুটিয়ে তুলবে রোজকার ডালভাতের তরল জীবন।