ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সোমবার দেশের চার রাজ্যের ৫ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হল(By-Election)। আর নির্বাচনী ফলাফলের ৩ কেন্দ্রেই দেখা গেল শাসকদলের জয়জয়কার। গুজরাট, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের ৩ কেন্দ্রেই বিপুল জয় পেয়েছে সেখানকার শাসকদল বিজেপি, আপ এবং তৃণমূল কংগ্রেস।এবার পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জের পাশাপাশি কেরলের নীলাম্বুর বিধানসভা আসনে ছিল সেমিফাইনাল ম্যাচ। আগামী বছর বাংলার পাশাপাশি সেখানেও রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে, গুজরাট ও পাঞ্জাব থেকে আম আদমি পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার প্রত্যাশায় ছিল বিজেপি।
গুজরাটে চমক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (By-Election)
গত ১৯ এপ্রিল গুজরাটের দুই কেন্দ্র ভিসাভাদার, কাদি, কেরলের নীলাম্বুর, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম এবং পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জে উপ নির্বাচন হয়(By-Election)। সোমবার সকাল থেকে এই ৫ কেন্দ্রে শুরু হয় ভোট গণনা। অধিকাংশটাই মিলে গেলেও উপনির্বাচনের ফলাফল হল কিছুটা অপ্রত্যাশিত। দিল্লিতে হারের পর কার্যত কামব্যাক করেছে আপ।গুজরাটের ভিসাভাদার আসনে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের প্রার্থী গোপাল ইটালিয়া।সেখানে শাসকদল বিজেপি কার্যত ব্যাকফুটে। কোনও মতে কাদি আসনটি ধরে রাখতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। জয় পেয়েছেন বিজেপির রাজেন্দ্র চাদভা।

কেরলে দাপট কংগ্রেস (By-Election)
ঠিক একই ভাবে শাসকদলকে হারিয়ে কেরলের নীলাম্বুরে জয়ী হয়েছেন নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) প্রার্থী আর্যদান শৌকথ। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে বামেরা(By-Election)। ওয়ানড়ের নীলাম্বুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের পিভি আনভার এবার নির্দল হিসাবে লড়েছিলেন। গণনা শেষে তিনি তৃতীয় স্থানে শেষ করেন। বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগের এই উপনির্বাচনে দেখা গেল ফাটল বাম দুর্গে।এই জয়কে কংগ্রেসের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, ঐতিহ্যগতভাবে নিলাম্বুর বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এছাড়াও, এই কেন্দ্রটি ওয়ানাড় লোকসভা আসনের অন্তর্গত, যেখানে সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। বাম-সমর্থিত স্বতন্ত্র বিধায়ক পি.ভি. আনোয়ার পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।

আরও পড়ুন-Canada: খালিস্তানি উৎখাত! কানাডাকে সযোগিতার আহ্বান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
পাঞ্জাবে শাসকদলের জয়জয়কার (By-Election)
লুধিয়ানা পশ্চিম আসনে আম আদমি পার্টির প্রার্থী ও প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জীব অরোরা প্রায় ১০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন(By-Election)। এই আসনটি শূন্য হয়েছিল বর্তমান আপ বিধায়ক গুরপ্রীত বাসি গোগির অকাল মৃত্যুর পর।বিজেপি সেখানে দাঁত ফোটাতেও পারেনি। কংগ্রেস প্রার্থী ভরত ভূষণকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে জিতেছেন আপের সঞ্জীব অরোরা।বিজেপি প্রার্থী জীবন গুপ্ত তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। এই আসনে আপ শীর্ষ নেতৃত্ব—অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, এবং আতসী জোরালো প্রচার চালিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-Oil Prices: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে আমেরিকার এন্ট্রি! পাঁচ মাসে সর্বোচ্চ তেলের দাম
বাংলায় সবুজ ঝড় (By-Election)
অন্যদিকে, বাংলার কালীগঞ্জে প্রত্যাশামাফিক সবুজ ঝড়(By-Election)। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী আলিফা আহমেদ। একুশের বিধানসভা ভোটের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।তিনি ৪৯ হাজার ৭৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি ও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী তৃতীয় হয়েছে।এই আসনটি নদিয়া জেলার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।এটি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত, যা তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ভোট ভাগাভাগি এবং তৃণমূলের কাছে তাদের পরাজয় রাজ্যের বিরোধীদলের দুর্বলতা ও বিভাজনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
