ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রানীনগরের গোধনপাড়া এলাকায় রাস্তায় চলছে ইঞ্জিন লাগানো চারচাকা খাট (Bed Car Viral Video)। যে খাট আমরা সাধারণত বাড়িতে দেখতে পায়। সেই খাট চলছে রাস্তায়। মুর্শিদাবাদের রানীনগরে যা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পথ চলতি মানুষ। পুলিশ হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে ভিড় সামলাতে। খাটের চারটে চাকা,স্টিয়ারিং,লুকিং গ্লাস সবকিছু রয়েছে। চালক আবার উৎসাহী হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েও চার চাকা খাট চালাচ্ছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বানিয়ে ফেলেন ইঞ্জিনচালিত খাট (Bed Car Viral Video)
ডোমকলের শম্ভুনগরের বাসিন্দা নবাব শেখ বানিয়ে ফেলেছেন ইঞ্জিনচালিত এই চলমান খাটটি (Bed Car Viral Video)। নবাবের নিজের চারচাকা গাড়ি রয়েছে। দেড় বছরের প্রচেষ্টায় প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে চলমান খাট তৈরি করেছেন নবাব। তিনজন কাঠমিস্ত্রিকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার পরিশ্রম করে বানিয়ে ফেলেন ইঞ্জিনচালিত খাট। দুটো ব্যাক মিরর, রয়েছে স্টিয়ারিং, ব্রেক, চাকা। নকশা করা খাটে লাগানো চাকা। খাটে তোশক, চাদর, বালিশ দিয়ে আরামের সুন্দর বন্দোবস্ত।
বিভিন্ন রকম ভঙ্গিতে পোজ (Bed Car Viral Video)
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ভিড় রাস্তায় ছুটে চলেছে খাট। খাটের দু’দিকে রয়েছে দু’টি ‘লুকিং গ্লাস’, আর ‘গাড়ি’র আসনে গদি-তোশক। সেই খাটের উপর আয়েশ করে বসে (কখনও কখনও দাঁড়িয়ে) বিভিন্ন রকম ভঙ্গিতে পোজ দিচ্ছেন এক যুবক। মাঝেমধ্যে তিনিই বসে পড়ছেন স্টিয়ারিংয়ে। নিয়ন্ত্রণ করছেন খাটের গতি।
১৪ কিলোমিটার রাস্তায় বারবার যাতায়াত
মুর্শিদাবাদের রানিনগর বাজার থেকে ডোমকল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় বারবার যাতায়াত করছিল খাট-গাড়ি। ফলে তৈরি হচ্ছিল যানজট। রাস্তায় রীতিমতো ভিড় জমে গেছিল ওই চলমান খাট দেখার জন্য। অবশেষে বাধ্য হয়ে রানিনগরের পুলিশ চলমান খাটের মালিককে ডেকে নির্দেশ দেয়, রাস্তায় এমনিতেই ভিড়। তার মধ্যে এই আজব খাট বের করায় রাস্তায় আরও ভিড় হচ্ছে। আপনি খাট নিয়ে বাড়ি যান।
‘খাট থাকলে এখানেই ঘুমোতাম’
কী ভাবে এবং কেন এমন অদ্ভুত যান তৈরি করলেন প্রশ্ন করতেই নবাব লাজুক স্বরে ডোমকলের নবাবের জবাব, ‘‘নদীর পারে সন্ধ্যায় বসেছিলাম। প্রেমিকা বলল, ‘এত সুন্দর পরিবেশ, খাট থাকলে এখানেই ঘুমোতাম। এনে তো দিতে পারবি না? পারবি কি আমার জন্য?’ সেটাই চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিলাম। ওর আবদার বলে কথা। তাই বানিয়েই ফেললাম।’’ নবাব জানাচ্ছেন, খাটটিকে চলমান করতে ব্যবহার করেছেন ৮০০ সিসির একটি ইঞ্জিন। তাঁর দাবি, ‘‘এটি একটি প্রোটোটাইপ। মানুষের ভাল লাগে কি না বুঝতে ইদের দিন রাস্তায় নামিয়েছিলাম। কাজ শেষ করতে আরও কয়েক মাস লাগবে”।