ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইউক্রেনের রাজধানী কিভে ফের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রুশ সেনা। শুক্রবার রাতভর চলা এই ব্যাপক হামলায় কেঁপে উঠেছে কিভ সহ ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল(Russia-Ukraine War)। সরকারি সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশ জুড়ে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। হামলার তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু আবাসন, সরকারি ও বেসরকারি পরিকাঠামো। পরিস্থিতি দেখে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ইউক্রেনের দাবি (Russia-Ukraine War)
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর দাবি, রাশিয়া অন্তত ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৫০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে (Russia-Ukraine War)। রাজধানী কিভ (Volodymyr Zelenskyy) ছিল প্রধান নিশানা। যদিও ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ২৪৫টি ড্রোন হামলা রুখে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম হয়, যার জেরে ধ্বংস হয়েছে নিপ্রো, খারকিভ, ওডেসা, ডোনেৎস্ক এবং জ়্যাপোরিজ়জিয়ার মতো শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
কিভ শহরে আহত ১৮ (Russia-Ukraine War)
শুক্রবার রাতভর চলা এই হামলায় শুধু কিভ শহরেই আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন (Russia-Ukraine War)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ড্রোন বিস্ফোরণের কারণে বেশ কয়েকটি বহুতলে আগুন ধরে যায়, একাধিক আবাসন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়ে। হামলার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানী জুড়ে বেজে ওঠে এয়ার সাইরেন। বহু মানুষ আশ্রয় নেন মাটির নিচে নির্মিত বাঙ্কারে অথবা বাড়ির সিঁড়ির তলায়। প্রাণ হারানো মানুষের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি আন্তর্জাতিক মহলের উদ্দেশ্যে ফের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করতে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।

যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা নেই? (Russia-Ukraine War)
এই তীব্র হামলার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি যুদ্ধ থামার কোনও সম্ভাবনা নেই (Russia-Ukraine War)? কারণ যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে একাধিক আলোচনা চললেও বাস্তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর সম্প্রতি ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেন মুখোমুখি বৈঠকে বসে, তাও কোনও তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই। যদিও সেই আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে দু’পক্ষই প্রতি পক্ষের ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়। সেই অনুযায়ী, শুক্রবার এবং শনিবার দুই দফায় মোট ৬০০-র বেশি বন্দি বিনিময় হয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)
বন্দি বিনিময়ের এই উদ্যোগ কিছুটা ইতিবাচক বার্তা দিলেও একইসঙ্গে এত বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা যুদ্ধ বন্ধের আশা ক্ষীণ করছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা (Russia-Ukraine War)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে আলোচনার টেবিল, অন্যদিকে যুদ্ধক্ষেত্র—এই দ্বিমুখী বাস্তবতা বিশ্বকে কঠিন এক দোলাচলের মুখে দাঁড় করিয়েছে।