Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Russia Volacno Eruption) বিধ্বস্ত রাশিয়ার সুদূর পূর্ব প্রান্ত। প্রচণ্ড ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতার মধ্যেই জেগে উঠেছে রাশিয়ার সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লিউচেভস্কয়। ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। আগ্নেয়গিরির মাথা থেকে দেখা যাচ্ছে কমলা রঙের উজ্জ্বল শিখা এবং গা বেয়ে নামছে ফুটন্ত লাভা। এই ঘটনার কথা জানিয়েছে রাশিয়ার জিওফিজিক্যাল সার্ভে।
রক্তিম লাভার ধারা (Russia Volacno Eruption)
জিওফিজিক্যাল সার্ভে টেলিগ্রামে একাধিক ছবি শেয়ার করেছে (Russia Volacno Eruption), যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আগ্নেয়গিরির চূড়ায় অগ্নির উজ্জ্বল আভা। আগ্নেয়গিরির পশ্চিম ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্তিম লাভার ধারা। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়গিরির মাথায় প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় দেখা গিয়েছে কমলা আভা, যা বিস্ফোরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয় (Russia Volacno Eruption)
গতকাল রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত (Russia Volacno Eruption) হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৮, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে ধরা হয়। ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
এলাকায় তৈরি হয় চরম আতঙ্ক
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রে ৩ থেকে ৪ মিটার উঁচু ঢেউ দেখা গিয়েছে, যা ছিল সুনামির মতোই ভয়ানক। উপকূল সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয় চরম আতঙ্ক। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন সবরকম চেষ্টা চালায় এবং বহু মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়।
জেগে ওঠে ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি
এই ভূমিকম্প ও সুনামির পরই জেগে ওঠে ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি। এই আগ্নেয়গিরিটি ইউরোপ ও এশিয়ার সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসেবে পরিচিত। ২০০০ সালের পর থেকে অন্তত ১৮ বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে এখানে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের সরাসরি প্রভাবেই এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Son-in-law Property Rights: শ্বশুরমশাইয়ের সম্পত্তিতে জামাইয়ের কি অধিকার আছে?
তবে এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। বিশেষ সতর্কতায় রাখা হয়েছে পুরো কামচাটকা অঞ্চলকে।রাশিয়ার এই দুর্যোগ আরও একবার প্রমাণ করে দিল, প্রকৃতি যখন রোষানলে জ্বলে ওঠে, তখন তার সামনে মানুষের সমস্ত কৃতিত্বও নিতান্তই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।