ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায় বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian Army Chief)। বৃহস্পতিবার রুশ স্থলবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিউকভকে পদ থেকে অপসারণ করল ক্রেমলিন। এই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন তুরস্কের ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
পদোন্নতির আড়ালে অপসারণ (Russian Army Chief)
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেনারেল সালিউকভকে এখন জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের উপসচিব পদে নিযুক্ত করা হয়েছে(Russian Army Chief)।এটি রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সংস্থা, যার সভাপতিত্ব করেন খোদ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে একে অনেকেই ‘পদোন্নতির আড়ালে অপসারণ’ হিসেবেই দেখছেন।
রাশিয়ার কৌশলগত সাফল্য আশানুরুপ নয়(Russian Army Chief)
পশ্চিমা গোয়েন্দা মহল এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশ মনে করছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া যতটা কৌশলগত সাফল্যের আশা করেছিল, বাস্তবে ততটা অর্জিত হয়নি(Russian Army Chief)। সামরিক সরঞ্জাম ও সেনার সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও, বিশেষ করে গত কয়েক মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে রাশিয়ার কুর্স্ক, বেলগোরোড-সহ একাধিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মস্কো।

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ (Russian Army Chief)
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি জবাবদিহির মুখে পড়েছিলেন জেনারেল সালিউকভ(Russian Army Chief)। তার উপর সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে, যা তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্তকে আরও জোরালো করেছে। এই প্রথম নয়। এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনার জেরে ২০২৩ সালে পদচ্যুত হয়েছিলেন রুশ সেনার আরেক শীর্ষকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইভান পোপোভ। একইভাবে, ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান প্রিগোঝিন বিদ্রোহ করায় তাঁকেও বরখাস্ত করেন পুতিন।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack : কীভাবে জোড়া ‘অপারেশন’-এ ছয় জঙ্গিকে নিকেশ করা হল?জানালো সেনা এবং পুলিশ!
ইস্তানবুলে যুদ্ধবিরতির বৈঠক (Russian Army Chief)
এমন এক সেনা-অপসারণের সময়ে, ইস্তানবুলে যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রতিনিধি স্তরের বৈঠক শুরু হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। ইউক্রেনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি তুরস্কে থাকলেও এই বৈঠকে সরাসরি অংশ নেননি। অপরদিকে, আমন্ত্রণ থাকলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজে তুরস্ক সফর করেননি।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা (Russian Army Chief)
বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের (Vladímir Putin) এই পদক্ষেপ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সামরিক নেতৃত্বের উপর অস্বস্তি ও চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার আবহে সেনা নেতৃত্বে এমন পরিবর্তন এই বার্তাই দিচ্ছে—রাশিয়া এখনও যুদ্ধ ও কূটনীতির দুই মেরুতে নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বর্ষে প্রবেশের পরে সামরিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি এবং কূটনৈতিক চাপ—সব মিলে পুতিন প্রশাসন এখন নতুন ভারসাম্য খুঁজছে।