ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাশিয়ার বন্ধুপ্রতিম বাণিজ্যিক অংশীদারদের প্রতি আমেরিকার শুল্কের হুমকি নিয়ে এবার কঠোর অবস্থান নিল মস্কো(Donald Trump Tariff War)। সোমবার রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা স্পষ্ট জানালেন, ওয়াশিংটন নিজেদের বৈশ্বিক আধিপত্য বজায় রাখতে এক ‘নয়া ঔপনিবেশিকতা’র নীতি অনুসরণ করছে। তাঁর বক্তব্য, “কোনও শুল্কযুদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞাই রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সম্পর্কের ইতিহাসকে পাল্টাতে পারবে না।”
ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি নিয়ে ক্ষোভ (Donald Trump Tariff War)
সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald J. Trump) ভারত-সহ রাশিয়ার বিভিন্ন বাণিজ্যিক সঙ্গীর উপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন(Donald Trump Tariff War)। ভারতের ক্ষেত্রেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে জরিমানা বা ‘পেনাল্টি’ আরোপের কথাও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। সোমবার তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে নয়াদিল্লিকে সতর্ক করে বলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখলে শুল্কের হার আরও বাড়বে।”
এ প্রসঙ্গে জাখারোভা মন্তব্য করেন, এই হুমকি কোনও দেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপের সমান। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে দেশগুলিকে তাদের নীতিতে বাধ্য করতে চাইছে।
গ্লোবাল সাউথ ও ব্রিক্স প্রসঙ্গ (Donald Trump Tariff War)
রাশিয়ার অভিযোগ, আমেরিকা বিশেষত গ্লোবাল সাউথ—দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর চাপ তৈরি করছে(Donald Trump Tariff War)। এই তালিকায় ভারতও রয়েছে। জাখারোভা বলেন, “যারা মার্কিন নীতি মানছে না, তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক চাপানো হচ্ছে। এটি এক অবৈধ একতরফা নীতি।”
তিনি ব্রিক্স-এর কথাও উল্লেখ করেন, যে আন্তর্জাতিক জোটে ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ইরান, মিশর, ইথিয়োপিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইন্দোনেশিয়া যুক্ত হয়েছে। মস্কোর মতে, এই জোটই বহুপাক্ষিকতার প্রতীক এবং আমেরিকার আধিপত্যবাদী নীতির বিকল্প শক্তি।

আরও পড়ুন: Kishore Kumar Birthday : সুরের সম্রাট কিশোর কুমারের ৯৬তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
রাশিয়ার বার্তা, সহযোগিতা বাড়বে (Donald Trump Tariff War)
রুশ বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মস্কো বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করবে (Donald Trump Tariff War)। জাখারোভা বলেন, “আমরা চাই প্রকৃত অর্থে একটি ন্যায্য ও বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থা চালু হোক। আমেরিকার এই নীতি গোটা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর।”
মস্কোর মতে, মার্কিন শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা শুধু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নয়, গ্লোবাল অর্থনীতিকেও অস্থিতিশীল করতে পারে। রাশিয়ার বক্তব্য, পশ্চিমের এই নীতি বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক ‘দুঃখজনক বাস্তবতা’।

এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট, রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত ভারত-সহ ব্রিক্স দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও মস্কোর ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে।