ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্রিটেনে সফরের সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে নিমিষে মিটে যাবে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাত। তিনি লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক আলোচনাসভায় বলেন, ‘‘ভারত সরকার পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু ফিরিয়ে আনার অপেক্ষায় রয়েছে।’’ বিশ্লেষকদের মত জয়শঙ্করের এই মন্তব্য নতুন করে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিতে পারে।
সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ (S Jaishankar)
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের অধীনে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া (S Jaishankar) হয়েছে। তিনি ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজনকে এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গত বছর বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, এবং এই নিয়ে দলের নেতারা ধারাবাহিকভাবে কথা বলেছেন।
স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (S Jaishankar)
বিদেশমন্ত্রী ব্রিটেনে গিয়ে সেখানে প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক (S Jaishankar) বৈঠক করেন। বৈঠকে দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত সম্পর্কেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: BJP President: বিজেপির ইতিহাসে প্রথমবার, তবে কি এবার মহিলা সভাপতি?
তাঁকে লক্ষ করে বিক্ষোভ
তবে জয়শঙ্করের সফরে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাও ঘটে। তিনি যখন চ্যাথাম হাউসে আলোচনা করতে যান, তখন সেখানে খলিস্তানপন্থীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখান। তাদের মধ্যে একজন তাঁর গাড়ির সামনে এসে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। এই ঘটনা বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।
নিরাপত্তায় গাফিলতি!
জয়শঙ্করের উপর হামলার চেষ্টা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ নিন্দনীয়।’’ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জয়শঙ্করের মতো ভিভিআইপির নিরাপত্তায় গাফিলতি স্পষ্ট হয়েছে।

হাই কমিশনারের উপর হামলা
ব্রিটেনের মূলত খলিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) এই হামলার পেছনে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অতীতে এই সংগঠন ব্রিটেনে ভারতীয় হাই কমিশনারের উপর হামলা চালানোর জন্য পরিচিত।
সুতরাং, জয়শঙ্করের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য এবং তার সফরের সময় ঘটে যাওয়া হামলার চেষ্টা, উভয়ই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের জটিলতা এবং আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। বিশেষত, কাশ্মীরের রাজনৈতিক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের কৌশলগত নীতির প্রভাব ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।