ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-মার্কিন ঐক্যবদ্ধ থাকার জোরালো প্রমাণ।’ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যুক্ত ‘দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট’কে ‘বিদেশি জঙ্গি সংগঠন’ তকমা দেওয়ায় কৃতজ্ঞা প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর(India-China)।অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন তিনি। গত ২২ এপ্রিল নৃশংস জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহলগাঁও। এবার সেই ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
টিআরএফ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন তকমা (India-China)
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট(India-China)। পহেলগাঁও কান্ডে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় সামনে এসেছে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম।এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-কে একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে অপারেশন সিঁদুরের পর দেশে-দেশে ভারতের সাংসদ প্রতিনিধি দল পাঠানোর ‘সুফল’ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ইতিমধ্যে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, যে এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে যে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে।

বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (India-China)
এক্স বার্তায় এস জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-মার্কিন ঐক্যবদ্ধ থাকার এটি একটি জোরালো প্রমাণ(India-China)। মার্কো রুবিও এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ, যারা লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-এর শাখা সংগঠন টিআরএফ-কে একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন (এফটিও) এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে। টিআরএফ গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছিল।’ এর আগে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে বলেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে টিআরএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঠিক সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন-US President: হাতে একাধিক আঘাতের দাগ! জটিল রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
ভারত-চিন সম্পর্ক (India-China)
শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এ বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন এস জয়শঙ্কর।সেখানে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি(India-China)। বৈঠকে জয়শঙ্কর জানান, ‘পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষের কোনও স্থান নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে গত ন’মাসে উভয় দেশের দিক থেকেই সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে এই অগ্রগতি সীমান্তে বিরোধ নিরসন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এটি পারস্পরিক কৌশলগত আস্থা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মসৃণ বিকাশের মৌলিক ভিত্তি। উত্তেজনা হ্রাস-সহ সীমান্ত সম্পর্কিত অন্যান্য দিকগুলি মোকাবিলা করা এখন উভয় পক্ষের জরুরি দায়িত্ব।

বৈশ্বিক অর্থনীতি (India-China)
এস জয়শঙ্কর তুলে ধরেন যে, প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান বৈশ্বিক অর্থনীতি হিসাবে, ভারত-চিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক এবং মাত্রা রয়েছে(India-China)। তিনি সম্পর্ক সহজ করতে তিনি দু’দেশের জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানে জোর দেন। তিনি বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল এবং গঠনমূলক সম্পর্ক কেবল এই দুটি দেশের ক্ষেত্রেই নয় সমগ্র বিশ্বের জন্যই লাভজনক হবে যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে সর্বোত্তমভাবে অর্জন করা সম্ভব।
