ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে (Safe Headphone) আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাস। এক সময় গান শোনার জন্য মানুষ নির্ভর করত বড়সড় মিউজ়িক সিস্টেমের উপর। সেখানে শ্রোতা এবং যন্ত্রের মধ্যে একটি দূরত্ব বজায় থাকত। কিন্তু এখন সেই জায়গা দখল করেছে হেডফোন এবং ইয়ারফোনের মতো ব্যক্তিগত ডিভাইস। বিনোদন থেকে অফিসের জরুরি মিটিং সবেতেই এই ডিভাইসগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘণ্টা। আর এতেই বাড়ছে সমস্যার সম্ভাবনা।
কমছে শ্রবণক্ষমতা (Safe Headphone)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়ারফোন বা হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে কমছে (Safe Headphone) শ্রবণক্ষমতা। আগের দিনে যেটা মূলত দেখা যেত প্রবীণদের মধ্যে, এখন সেই একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে অল্পবয়সিদের মধ্যেও। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে কয়েক ঘণ্টার বেশি হেডফোন ব্যবহারের ফলে কানে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। একটানা উচ্চ শব্দমাত্রা বা কিছু সেকেন্ডের জন্য ১০০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে গেলে হঠাৎ করেই শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা থাকে, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় ‘সাডেন সেন্সরিনিউরাল হিয়ারিং লস’ অর্থাৎ কানের স্ট্রোক।
হঠাৎ কানে তালা লাগা (Safe Headphone)
চিকিৎসকদের মতে, হঠাৎ করে কানে তালা লাগা, ঝিঁঝি ধরা বা স্পষ্টভাবে (Safe Headphone) কিছু না শোনা এসব উপসর্গ দেখা দিলেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। না হলে ক্ষতি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। দুঃখজনকভাবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ দেরি করে ফেলেন, বা নিজে থেকেই ড্রপ ব্যবহার করে সমস্যা বাড়িয়ে তোলেন।
অতিরিক্ত শব্দমাত্রায় গান শোনার প্রবণতা
কেন এই সমস্যা বাড়ছে? এর পেছনে একদিকে যেমন রয়েছে সস্তা মানের ইয়ারফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার, অন্যদিকে রয়েছে অতিরিক্ত শব্দমাত্রায় গান শোনার প্রবণতা। আধুনিক ইয়ারবাড বা নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন ব্যবহারকারীদের শব্দকে আরও ‘পার্সোনাল’ করে তুললেও, তাতেও থাকে বিশেষ ধরনের শব্দ তরঙ্গের প্রভাব যা দীর্ঘ ব্যবহারে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে স্নায়বিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
৮৫ ডেসিবেল শব্দমাত্রা নিরাপদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ, দিনে সর্বোচ্চ ৮৫ ডেসিবেল শব্দমাত্রা নিরাপদ। হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ভলিউমের বেশি না হওয়াই শ্রেয়, আর একটানা ১ ঘণ্টার বেশি না ব্যবহার করাই ভালো। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা, তার মধ্যেও কিছু বিরতি রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: Brain Health: মস্তিষ্কের ক্ষতি ডেকে আনছে জীবনের কিছু অভ্যাস, কীভাবে এড়াবেন এই বিপদ?
অন্যদিকে, সস্তা মানের ইয়ারফোনে নিরাপত্তাজনিত ফিচার না থাকায় শ্রবণযন্ত্রে সরাসরি ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, নামী ব্র্যান্ডের ডিভাইস ব্যবহার করা এবং সচেতন ব্যবহারবিধি মেনে চলাই একমাত্র পথ। শ্রবণশক্তি একবার নষ্ট হলে তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া জরুরি। কানে যত্ন নিন, শব্দে সংযম রাখুন— তবেই দীর্ঘদিন ধরে উপভোগ করতে পারবেন সুস্থ ও পরিষ্কার শ্রবণক্ষমতা।