ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গোয়ালপোখরকাণ্ডে (Goalpokhar Incident) গ্রেফতার সাজ্জাকের আরও এক সহযোগী। শুধু আবদুলই নয় সাজ্জাককে সাহায্য করেছিল হজরতও। নিহত পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলমের (Sajjak Alam) এনকাউন্টারের পর এবার হজরতকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
গোয়ালপোখরে ফিল্মি কায়দায় ঘটনার (Goalpokhar Incident) সূত্রপাত করেছিল সাজ্জাক। আর সেই ফিল্মি কাদায় সাজ্জাককে এনকাউন্টার করল পুলিশ। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ঘন কুয়াশায় ঢেকেছিল রাস্তা। নদীর পাড় ধরে সেতুতে ওঠার আগেই সাজ্জাককে দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশের গুলিতে নিহত পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলম। DGP-র হুঁশিয়ারির পরেই এনকাউন্টার সাজ্জাক (Sajjak Alam encounter)।
সাসপেন্ড ভারপ্রাপ্ত ৪ অফিসার (Goalpokhar Incident)
পুলিশের দাবি, বাংলাদেশে পালানোর সময় সাজ্জাক আলম ধরা পড়ে। আত্মসমর্পণ (Goalpokhar Incident) করতে বলায় গুলি চালায় সাজ্জাক। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। এখনও অধরা নিহত বন্দির সাহায্যকারী। কীভাবে বিচারাধীন বন্দির হাতে অস্ত্র? হেফাজতে থাকা বন্দির কাছে অস্ত্র এল কীভাবে? কোথায় নজরদারি? সাসপেন্ড করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত ৪ অফিসারকে। এনকাউন্টারে সাজ্জাকের মৃত্যু হলেও, তার সাহায্যকারী আবদুল হোসেন এখনও অধরা। তবে পুলিশ সূত্রে খবর শুধু আবদুলই নয় সাজ্জাককে সাহায্য করেছিল হজরতও। আবদুলকে পাওয়া না গেলেও হজরতকে গ্রেফতার করল পুলিশ ।
অনুপ্রবেশের একটি মামলায় কিছুদিন ইসলামপুর জেলে ছিল, বাংলাদেশের নাগরিক আবদুল হোসেন। সেখানেই খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মাস পাঁচেক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় আবদুল। বুধবার কোর্ট লক আপে সাজ্জাকের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এই বাংলাদেশি আবদুলই। পুলিশকে গুলি মারার পর, পুলিশের গুলিতেই সাজ্জাক নিহত হলেও, আবদুলের কোনও খোঁজ এখনও নেই।
‘সাজ্জাক’ এনকাউন্টার (Goalpokhar Incident)
২০১৮ সালে করণদিঘির একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি ছিল সাজ্জাক আলম (Sajjak Alam)। বুধবার কোর্ট থেকে ফেরার সময় পাঞ্জিপাড়া মোড়ের কাছে শৌচাগারে যাওয়ার অছিলায় পুলিশের বাস থেকে নেমে পুলিশকে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালায় সাজ্জাক। সিসিটিভি ফুটেজে তার পালানোর ছবিও ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে গোয়ালপোখরের শ্রীপুর সীমান্ত লাগোয়া কীচকটোলা গ্রামে গা ঢাকা দিয়েছিল সাজ্জাক।
আরও পড়ুন: North Dinajpur News : গুলির জবাবে গুলি ! নিহত গোয়ালপোখর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক
পুলিশের কাছে খবর ছিল, বাংলাদেশের পালিয়ে যাচ্ছে সাজ্জাক (Goalpokhar Incident) । বাংলাদেশে পালানোর সময় বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর এদিনও ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সাজ্জাক। তখন পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। ADG আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, “সকাল ৭টা নাগাদ ওকে (সাজ্জাক) চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়েছিল আত্মসমর্পণ করতে। কিন্তু সেটা না করে, সে গুলি চালায় এবং পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। অস্ত্রটা উদ্ধার হয়েছে। আমরা দেখছি, এটা সেই অস্ত্র কি না, যেটা দিয়ে সেদিন (পুলিশকে) গুলি করা হয়েছিল।” বুকে, কাঁধে ও পায়ে, ৩টি গুলি লাগে সাজ্জাকের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।