ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ত্বকের যত্নে প্রাচীনকাল থেকে চন্দনগাছের (Sandalwood Skin Care) সুগন্ধি কাঠের গুঁড়ো বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। যদিও এটি একটু সেকেলে মনে হতে পারে, কিন্তু চন্দনগুঁড়োর উপকারিতা নিয়ে কখনোই সন্দেহ তৈরি হয়নি। আজকের ব্যস্ত জীবনে সময় কম থাকা সত্ত্বেও, সহজলভ্য চন্দনগুঁড়ো ব্যবহার করে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব।
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে (Sandalwood Skin Care)
চন্দনগুঁড়োর প্রধান গুণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল এর প্রদাহনাশী (Sandalwood Skin Care) বৈশিষ্ট্য। ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে চন্দনগুঁড়ো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধেও কার্যকর। তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে চন্দনের জুড়ি মেলা ভার, ফলে ত্বক থেকে চিটচিটে ভাব কমে যায়। ত্বক শুষ্ক হওয়ার ভয় না করেই চন্দন ব্যবহার করা যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি (Sandalwood Skin Care)
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করাতেও চন্দনের বিশেষ ভূমিকা (Sandalwood Skin Care) রয়েছে। চন্দনের গুঁড়ো ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে মৃত ত্বক ঝরাতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক নরম ও কোমল হয়। যদি ত্বকে কালো ছোপ বা দাগ থাকে, তা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার ক্ষমতাও রয়েছে চন্দনের। এই কারণে যারা ত্বককে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত রাখতে চান, তাদের জন্য চন্দনগুঁড়ো এক আদর্শ উপকরণ।
ত্বক সুরক্ষায় চন্দন
শীতলীকরণ এবং ত্বক সুরক্ষায় চন্দনের ভূমিকা অতুলনীয়। সূর্যের অতিরিক্ত তাপে ত্বকে জ্বালা বা লালচে ভাব দেখা দিলে চন্দনের পেস্ট ব্যবহার করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষতি কমাতে এবং ফুসকুড়ি দূর করতে চন্দন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বয়সের ছাপ মেটাতে
বয়সের ছাপ মেটাতে চন্দনগুঁড়ো দারুণ সহায়ক। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মুখে যে বলিরেখা ও কালো দাগ আসে, তা কমাতে চন্দন অত্যন্ত কার্যকর। এটি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান ও কোমল রাখে। তাই বার্ধক্যের ছাপ কমাতে চন্দন ব্যবহার অনেকেই পছন্দ করেন।
প্রাকৃতিক তেল নিয়ন্ত্রণ
চন্দনগুঁড়োর আরেকটি বড় গুণ হল প্রাকৃতিক তেল নিয়ন্ত্রণ করা। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী কারণ এটি ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রেখে সেবাম বা তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেলত্ব কমে যায় এবং মুখের চিটচিটে ভাব লাঘব হয়।
চন্দনগুঁড়ো ব্যবহার
চন্দনগুঁড়ো ব্যবহার করাটা বেশ সহজ। এক চা চামচ চন্দনগুঁড়োর সঙ্গে মেশাতে পারেন গোলাপ জল, দুধ বা মধু। এই মিশ্রণটি মুখে ১০-১৫ মিনিট ধরে মেখে রাখুন। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ত্বকে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন: Skin Care Tips: চিয়া সিডেই লুকিয়ে সৌন্দর্যের রহস্য, ডাবের জল নাকি চালের জল উপকারী?
সংক্ষেপে, চন্দনগুঁড়ো এক প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপাদান যা ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে পারে। রূপচর্চায় নিয়মিত চন্দনের ব্যবহার আপনার ত্বককে থাকবে সুস্থ, উজ্জ্বল ও সতেজ। তাই আজ থেকেই চন্দনকে আপনার ত্বকের বন্ধু করে নিন।