ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বছরের শেষদিনে বাংলাকে গর্বিত করেছিলেন রবি হাঁসদারা। ৭ বছরের খরা কাটিয়ে তাঁদের হাত ধরেই সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলা (Santosh Trophy)। নতুন বছরের শুরুতে সন্তোষজয়ী দলকে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলের প্রত্যেক ফুটবলারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করলেন তিনি। ট্রফিজয়ী স্কোয়াডের সঙ্গে ছবিও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সন্তোষ-জয়ের উল্লসিত মমতা (Santosh Trophy)
এদিন তিনি বললেন, ‘কোচ সঞ্জয়বাবুর নেতৃত্বে বাংলার যে ফুটবল দল ভারতসেরা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা সকলেই গর্বিত। সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) বাংলার ফুটবলাররা যেভাবে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীদিনে আরও ভাল প্রশিক্ষণ পেলে এরা আরও উন্নতি করতে পারবে।’
‘বাংলা বিশ্বকাপও খেলতে পারে’ (Santosh Trophy)
সন্তোষ-জয় (Santosh Trophy) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বললেন, ‘বাংলার এই ফুটবলারদের যদি আরও ভালো ইনস্ট্রুমেন্ট দেওয়া যায়, আরও ভাল খাবার-দাবার দেওয়া যায়, তাহলে ওরা একদিন বিশ্বকাপ খেলারও যোগ্যতা অর্জন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: Khel Ratna Award: জল্পনার অবসান, খেলরত্ন পাচ্ছেন মনু! পুরস্কার পাবেন আরও তিন জন
আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
সন্তোষজয়ী ফুটবলাররা বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। নবান্ন সভাঘরে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের প্রত্যেক সদস্যের হাতে তুলে দেন বিশেষ উপহার। সঙ্গে ঘোষণা করেন, চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিশেষ আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী কথায়, ‘বাংলার এই ফুটবলাররা অধিকাংশই গ্রামের ছেলে। এদের মধ্যে যথেষ্ট এনার্জি রয়েছে, শৃঙ্খলাবোধ রয়েছে। পরিবারে আর্থিক টান থাকলেও বাকি কোনও পিছুটান নেই। আর তাই আমি বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে এই ফুটবলারদের একটা করে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেব। এরা খেলাধুলোতেই মনোনিবেশ করবে। সময় পেলে তবেই চাকরি করবে।’
আরও পড়ুন: Shubman Gill: ৪৫০ কোটির কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে শুভমান, সিআইডি তদন্তে উঠে এলো নাম
সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলার জয়ের খবর পেতেই সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রবি হাঁসদার দুরন্ত গোলে জয় নিশ্চিত হল, যিনি টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১৩টি গোল করে গোল্ডেন বুট পেয়েছেন। কোচ সঞ্জয় সেনকে আন্তরিক অভিনন্দন। ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য অভিনন্দন অধিনায়ক চাকু মান্ডি, পুরো দল, ম্যানেজমেন্ট, কোচিং এবং ট্রেনিং স্টাফদেরও। বাংলা ভারতীয় ফুটবলের কেন্দ্রস্থল হিসাবে জ্বলজ্বল করছে। সামনে আরও অনেক গৌরবময় মুহূর্ত অপেক্ষা করছে!’
সন্তোষ ট্রফি জয়
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কেরলকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতে বাংলা। সন্তোষ ট্রফিতে শেষবার বাংলার সাফল্য এসেছিল ২০১৬-১৭ সালে। সেবার ট্রফি জয়ের পর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা সন্তোষ থেকে ফিরেছে শূন্য হাতে। দুবার ফাইনালেও হারতে হয়েছে। গত মরশুমে বাংলাকে বিদায় নিতে হয়েছে একেবারে প্রাথমিক রাউন্ড থেকেই। অবশেষে সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান। ফাইনালে কেরলকে ১-০ গোলে হারায় সঞ্জয় সেনের ছাত্ররা। একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলার জয় নিশ্চিত করেন রবি হাঁসদা। টুর্নামেন্টে ১২ গোল করে ইতিহাস গড়েন তিনি।