ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শতাব্দী রায় (Satabdi Roy), যিনি একাধারে একজন নেত্রী, অপরদিকে দক্ষ অভিনেত্রী। এত বছর পর তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরলেন ‘বাৎসরিক’-এর হাত ধরে। বহু বছর পর তাঁকে পর্দায় দেখে খুশি অনুরাগীরা। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। তিনি মনে করেন, এ যেন নিজের কাছে নিজেই চ্যালেঞ্জ নেওয়া। কেন তিনি চ্যালেঞ্জের কথা বললেন? নতুন ছবিতে অভিজ্ঞতা কেমন? এত বছর পর ফ্লোরে অনুভূতি কেমন? কবে আসছে নতুন ছবি? নানা কথা শেয়ার করে নিলেন ট্রাইব টিভির সাক্ষাৎকারে।
নতুন যাত্রাপথ (Satabdi Roy)
অভিনেত্রীকে ৬ জুন দেখা যাবে পর্দায় (Satabdi Roy)। বহু বছর পর ফ্লোরে। যেন এক নতুন যাত্রাপথ। তবে একেবারেই নতুন তা নয়! এক সময় চুটিয়ে অভিনয় করে গেছেন। ভক্ত থেকে অনুরাগীদের সংখ্যাও কম নয়। তাঁর সেই মুখের হাসি যেন মনে করিয়ে দেয় সেই বহু বছর হারিয়ে যাওয়া শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy)। এত বছরও কি নতুন ছবি সুযোগ আসেনি? উত্তরে তিনি জানান, অনেক ছবির সুযোগ আসলেও ‘বাৎসরিক’ এই প্রজন্মে সফল পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের, যেটা তাঁর খুবই পছন্দ হয়েছে। এটি একটি নারী কেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে গঠিত। তাছাড়া তাঁর সময়ের সাথে শুটিংয়ের সময় অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব হয়েছে, তাই তিনি ছবিটি করতে পেরেছেন।
ডায়লগ ভুলে যাবেন! (Satabdi Roy)
এত বছর পর ফ্লোরে ফিরে এক নতুন অনুভূতি হয় অভিনেত্রীর (Satabdi Roy)। তবে ঠিকঠাক ডায়লগ বলতে পারবেন কি না সে বিষয়ে প্রথম একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন! কিন্তু অভিনয় যে তাঁর ভালোলাগা ভালোবাসা। হয়ত অনেকদিন অভিনয়ের জগৎ থেকে দূরে ছিলেন, তাই বলে ডায়লগ বলতে পারবেন না বা ভুলে যাবেন এ যেন অবিশ্বাস্য! আর এই না পারাকে, পারায় করে তোলা তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ,তা তিনি জানিয়েছেন দর্শকদের।
আরও পড়ুন: Pushpa 2: টিভির পর্দায় ‘পুষ্পা ২’, দেখবেন বাড়িতে বসেই! আসছে কোন চ্যানেলে?
পছন্দ করেন চ্যালেঞ্জ নিতে
অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। তবে তিনি নিজের মনের কথা শোনেন। মনকে গুরুত্ব দেন খুবই। মন যেটা করতে বলে সেটা করেন, সেটা চ্যালেঞ্জ হোক, হেরে যাওয়া হোক, ভুল হোক কিংবা ঠিক হোক, সেটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে নেন তিনি। দেখতে দেখতে প্রায় অনেক বছরই অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন শতাব্দি রায়। একটু হলেও অভিনয়, ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন মিস করতেন। তিনি মনে করেন, নতুনদের কাছেও শেখার আছে। তবে তাঁদের মধ্যে একজন পুরাতন লোক থাকলে মন্দ হয় না, আড্ডা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Ranojoy Bishnu: বাড়ি লণ্ডভণ্ড, গায়ে অজানা আঁচরের দাগ! বাস্তবে ভূতের মুখে রণজয় ?
পজেটিভ থাকতে ভালোবাসেন
অভিনেত্রী নিজেকে সবসময় পজিটিভ রাখেন। কারণ তাঁর মনে হয়, নেগেটিভ দুনিয়ায় নিজেকে পজেটিভ রাখা খুবই জরুরী। কীভাবে রাখেন নিজেকে পজেটিভ? উত্তরে বলেন, ভালো দিকগুলো নিয়ে খারাপকে পাত্তা না দিলেই পজিটিভ থাকা যায়। সবশেষে তিনি তাঁর অনুরাগীদের জন্য একটা উপদেশ দিয়েছেন, “জীবনকে খুব হালকা ভাবে নাও। দেখবে সব সহজ হয়ে গেছে।” সবসময় হাসিখুশি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরছেন ছেলে। পরিবারে সকলে মিলে দেখতে যেতে পারেন ‘বাৎসরিক’। বহু বছর পর দর্শকরা অভিনেত্রীকে পর্দায় দেখবেন। অপেক্ষায় দিন গুনছেন অভিনেত্রীর ভক্তরা।