ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (SBI) কে ১১ বছর আগের একটি ঘটনায় বড়সড় ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিল দিল্লির ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। শুধু মূল টাকা ফেরত নয়, তার উপর বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে সুদ, মানসিক যন্ত্রণা এবং আইনি লড়াইয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থও দিতে বলা হয়েছে।
১ হাজার টাকা তুলতে গিয়েই বিপত্তি (SBI)
ঘটনাটি শুরু হয় ২০১৩ সালে, যখন এক গ্রাহক SBI-এর ATM ব্যবহার করে ১ হাজার (SBI) টাকা তুলতে যান। ঘটনার সময় তিনি গুয়াহাটিতে ছিলেন। ATM থেকে টাকা বের না হলেও, পরে অন্য একটি ব্যাঙ্কের ATM-এ গিয়ে আবার টাকা তোলেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মোবাইলে একটি বার্তা আসে যেখানে লেখা, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা ডেবিট হয়েছে। অথচ, তিনি কখনওই ওই পরিমাণ অর্থ তোলেননি।
সমস্যার সুরাহা হয়নি (SBI)
এই ঘটনায় তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সমস্যার (SBI) সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিনি দিল্লি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মামলার শুনানি চলার পর আদালত এবার রায় দিলেন গ্রাহকের পক্ষে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ব্যাঙ্কের তরফে পরিষেবায় ঘাটতি এবং ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তির কারণে গ্রাহক আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই কারণে SBI-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে-
- গ্রাহকের ভুলভাবে কাটা ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে
- সেই টাকার উপর ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে
- আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
- মানসিক যন্ত্রণা ও হয়রানির জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা দিতে হবে

গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন
এই রায়ের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে। ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়ছে, ততই বেড়ে চলেছে প্রযুক্তিগত ত্রুটিজনিত সমস্যা। গ্রাহকেরা বারবার অভিযোগ করলেও বহু ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: Heart Attack Case: বাড়ছে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা, হাসপাতালে অগণিত মানুষের লাইন!
এই মামলার রায় প্রমাণ করল, ভুক্তভোগীরা যদি আইনি পথে এগোন, তবে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব। আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল গ্রাহকই শেষ কথা, এবং তাঁদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকেও জবাবদিহি করতে হয়। এখন দেখার বিষয়, এই রায় ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহক পরিষেবার মান বাড়াতে কোনও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে কি না।