ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া DA-এর ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী আগস্ট মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি।
বকেয়া DA-এর ২৫ শতাংশ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ডিএ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ নামে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। এবার রাজ্যকে সেই মহার্ঘ ভাতার কিছুটা অংশ দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে মোট ১৮বার শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার মামলার শুনানি হলে আদালত নির্দেশ দিল, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে কোনও ভুল নেই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে পরিমাণ বকেয়া মহার্ঘভাতা রয়েছে, তার মধ্যে আপাতত ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে বাকিটা দেখা যাবে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট শুরুতেই বলে, অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া DA দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।’ রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না আমার কর্মীদের। এত টাকা দিলে আমরা চালাতেই পারব না।”
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, “আমরা সব রায় দেখেছি। হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি টাকা দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা সত্যি, যে এটা কোনও অধিকার নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে টাকা দেব না। অন্তত ২৫ শতাংশ দিন।” বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: Heatwave Alert: কোথাও বৃষ্টি, কোথাও তাপপ্রবাহ! কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া?
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি ডিএ আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কর্মচারীদের যে মহার্ঘভাতা প্রাপ্য, সেটা রাজ্য সরকার এত দিন অস্বীকার করছিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এটা স্বীকৃতি পেল যে, এটা আমাদের প্রাপ্য। আশা করি বিচার শেষে পুরো DA পাব।” উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মীরা এই মুহূর্তে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের ফারাক ৩৫ শতাংশ।