ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার আরও কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করা চাকরিহারারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।এসএসসি-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না যে রায় দিয়েছিলেন, তা একদম সঠিক বলেই বুধবার জানিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্ট।
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ কী?(SSC)
এসএসসি-র (SSC) মেধাতালিকার ক্রম বা ‘‘র্যাঙ্ক’-এ পিছিয়ে থেকেও অন্যদের টপকে উপরে উঠে আসাকে ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ বলা হচ্ছে। যাঁরা এ ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরও ‘অযোগ্য’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁরা চাকরি পাওয়ার ফলে ক্রমতালিকায় উপরে থাকা প্রার্থীরা, যাঁরা পরীক্ষায় তুলনামূলক ভাল ফল করেছিলেন, তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ প্যানেল বাতিল(SSC)
ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি’র (SSC) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী। ৩১ মে-এর মধ্যে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, এর মধ্যে যাঁদের মধ্যেই অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। তাঁরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন না।
‘অযোগ্য’দের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
এই ‘অযোগ্য’দের তালিকায় রয়েছেন মূলত তিন ধরনের চাকরিহারা। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা প্যানেল-বহির্ভূত ভাবে বা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরি পেয়েছেন। এই ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে চাকরিহারারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সাদা খাতা জমা দেননি। প্যানেলেও তাঁদের নাম ছিল। পরীক্ষায় দিয়েই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। তাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: SSC Teachers Protest: বিকাশ ভবনের আন্দোলনকারীদের শো-কজ চিঠি পাঠালো পর্ষদ!
বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতে তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না। কারণ ওই নির্দেশে কোনও ভুল ছিল না।