ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নতুন ক্লাসে ভর্তি করার মতো টাকা নেই বাবার। অভিমানে আত্মঘাতী (School Girl Suicide Case) বছর ১৪ এর নাবালিকা। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকায় ঘটে যায় এমন ঘটনা।
কে এই আত্মঘাতী নাবালিকা (School Girl Suicide Case)
আত্মঘাতী নাবালিকার নাম নাসিমা মোল্লা (School Girl Suicide Case)। বাবা রিকশাচালক ইসমাইল মোল্লা। মেয়েটি সারেঙ্গাবাদ ইটখোলা হাই স্কুলে পড়াশোনা করত। শনিবার নবম থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তিপ্রক্রিয়া চলছিল ওই স্কুলে। স্কুল থেকে টাকার ওভাবে ভর্তি না হতে পেরে বাড়ি ফিরে এসেই আত্মঘাতী(School Girl Suicide Case) হয় কিশোরী।
আত্মহত্যার কারন কী নাসিমার? (School Girl Suicide Case)
সহপাঠীরা ভর্তি হয়ে গেছে নতুন ক্লাসে। অথচ তাকে ভর্তি করার মতো টাকার অভাব রিকশাচালক বাবার। সুতরাং পড়াশোনা হয়তো এখানেই বন্ধ হয়ে যাবে তার। সেই অভিমানেই এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত (School Girl Suicide Case) নেই বছর ১৪ এর নাবালিকা নাসিমা।
আরও পড়ুন:Gangasagar Mela 2025: ১৩ জানুয়ারি শুরু গঙ্গাসাগর মেলা, সর্বস্তরে প্রস্তুতি ভারত সেবাশ্রমের
বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা দিতে পারেনি বাবা
জানা যায় নতুন ক্লাসে ভর্তি হতে বাবাকে টাকা চেয়েছিল নাসিমা। বাবা রিকশাচালক ইসমাইল মোল্লার কাছে তখন টাকা ছিল না কোনো। তাই বহুবার বলা সত্ত্বেও টাকা দিতে পারেনি বাবা। মেয়েকে তিনি বলেছিলেন কিছুদিন অপেক্ষা করতে। কিন্তু স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ার শেষদিন ছিল শনিবারই। সুতরাং নতুন ক্লাসে ভর্তি হওয়ার শেষ সুযোগ ছিল সেই দিনই।
আত্মহত্যা করতে কোন পথ বেছে নেয় নাসিমা?
শনিবার স্কুল থেকে ফিরে এসে বাড়ির সকলের ব্যস্ততার সুযোগ খোঁজে নাসিমা। বাড়ির সবাই যখন কাজে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে সে। তারপরেই বিষপান করে আত্মঘাতী(School Girl Suicide Case) হয় সে। পরে বাড়ির লোক ঘরে ঢুকে তাকে অবচেতন অবস্থা তাকে পায়। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ক্যানিং মহুকুমা হাসপাতালে। সেই হাসপাতালেই রাত্রে মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন:West Bengal Passport Scam: জাল পাসপোর্টকাণ্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ!
কী বলছেন প্রতিবেশীরা?
প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, পড়াশোনায় ভাল ছিল নাসিমা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করত সে। যে কারণে প্রতিবেশীরা বেশ পছন্দ করত মেয়েটিকে। কেউ ভাবতে পারেননি নাসিমা তার জীবন নিয়ে এমন একটি ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
কী বলছেন নাসিমার দাদা আক্রম?
নাসিমার দাদা আক্রম মোল্লা বলেন, ‘‘বোন ক্লাস নাইন থেকে টেনে ভর্তির জন্য টাকা চেয়েছিল বাবার কাছে। আমাদের অভাবের সংসার। বাবা বলেছিল, এখন টাকা নেই। এক দিন অপেক্ষা করতে। কিন্তু বোন অভিমানে বিষ খেয়ে নিয়েছে।’’
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা
এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বাকিটা পরে জানাব।’’ নাসিমার দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এই আত্মঘাতীর পিছনে অন্য কোনো কারন আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।