ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলার নানা প্রবাদের মধ্যে একটা হলো ‘রং দিয়ে যায় চেনা’, এই প্রবাদটি হিরের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় (Science), আসুন জেনে নেওয়া যাক নানান রঙের হিরের সৃষ্টি কাহিনী।
রঙের বাহার (Science)
হিরে বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা স্বচ্ছ পাথর, একদিকে যেমন স্বচ্ছ অন্যদিকে সেই পাথরের দ্যুতি যেন ছড়িয়ে পড়ে চোখ থেকে মনের অন্দরে। উপহার দেওয়া হোক বা নিজের জন্যই কেনা হোক, হিরের কদর সর্বত্র। মুক্ত যেমন তার রঙের নিরিখে হয়ে ওঠে মূল্যবান তেমনই আপনি কি জানেন হিরেও তার রঙের নিরিখে হয়ে ওঠে দামি (Science)। সত্যজিৎ রায়ের গল্পে যেমন ‘গোলাপী মুক্তার’ উল্লেখ পাই তেমনই হিরেও লাল, নীল, হলুদ সবুজ হতে পারে।
হিরে চকচকে দেখানোর প্রধান কারণ হল আলোর অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন তাছাড়াও হিরে কাটার উপরও নির্ভর করে আলো কীভাবে প্রতিফলিত হবে এবং কতটা চকচক করবে।
হিরে শুধু স্বচ্ছ না হয়ে যে ভিন্ন ভিন্ন রঙের হয় তার উত্তর পাওয়া যাবে বিজ্ঞানের কাছে। হিরের প্রধান উপাদান হলো কার্বন (Science)। হিরেতে থাকা কার্বন একেবারে বিশুদ্ধ কার্বন। উচ্চচাপে সেটি পরিণত হয় হিরের মতো মূলবান পাথরে। উচ্চচাপ ও উচ্চ তাপমাত্রায় কার্বনের পরমাণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভূগর্ভে সৃষ্টি হয় হিরের। তবে যদি শীঘ্র সেটাকে উপরের দিকে না আনা হয় তবে হিরের আকার নষ্ট হয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে। লাভার সঙ্গে ভূগর্ভের গভীরে থাকা হিরে উপরের দিকে উঠে আসে। বেশিদিন মাটির গভীরে থাকলে যে শুধু হিরের আকার নষ্ট হয় তা নয়, হিরে গ্রাফাইটেও পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: Surprise Attack: গ্রীষ্ম উৎসবে রক্তাক্ত লস অ্যাঞ্জেলস বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত ২, আহত ৬
হিরে মূলত স্বচ্ছ হয় কিন্তু তার সাথে যদি কোনোভাবে নাইট্রোজেন প্রবেশ করে তাহলে সেই হিরে হলুদ বা কমলা হয়ে ওঠে আবার বোরোন মিশে গেলে তার রং হয়ে ওঠে নীল।

হিরের রং লাল বা গোলাপী হলে বুঝতে হয় তার গঠনগত কোনও ত্রুটি রয়েছে। আবার তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের ফলে হিরে সবুজ রং ধারণ করে (Science)।

অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির গবেষক লিউক ডসেট জানিয়েছেন, সাধারণত ভূগর্ভের ১৬১ কিলোমিটার গর্ভে হিরে সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত চাপ পড়লে হিরের রং বাদামিও হতে পারে। চাপ অতিরিক্ত না হলে স্বচ্ছ, রংহীন হিরে সৃষ্টি হয়।
স্বচ্ছ হিরের তুলনায় বাজারে নীল গোলাপী হিরের দাম বেশি, লাল হিরে যেমন বিরল তেমমই সেই লাল হিরে সবথেকে মূল্যবান।