Last Updated on [modified_date_only] by
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এবার শিশুদের স্তন্যপান করাতে মায়েদের সুবিধা দিতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নির্দেশ (Supreme Court) দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের বেঞ্চ মন্তব্য করেন, স্তন্যপান মা এবং সদ্যোজাত শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ২০২৪ সালে একটি নির্দেশিকায় কাজের জায়গায় স্তন্যপান করাতে মায়েদের জন্য আলাদা কক্ষ রাখার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (Supreme Court)
ট্রেনে-বাসে, হাসপাতালে, অফিসে শিশুকে স্তন্যপান করানোর জন্য আলাদা কক্ষ মেলে না (Supreme Court)। এই অবস্থায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রকাশ্যে স্তন্যপান করানোর বিষয়টিকে পুরনোপন্থী মনভাবে নেওয়া যাবে না। এই বিষয়ে নাগরিকদেরই ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে। নতুন করে প্রসঙ্গটি উঠেছে ‘মাতৃ স্পর্শ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করায়। এই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, রাস্তাঘাটে স্তন্যপান করানোর জন্য আলাদা কক্ষ নির্মাণ করতে হবে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার দাবি করে তারা।
শুনানিতে নির্দেশিকা কার্যকর (Supreme Court)
মামলার শুনানি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশটি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি (Supreme Court)। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য রুখতে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। সেখানে কাজের জায়গায় স্তন্যপানের আলাদা কক্ষের কথা বলা হয়েছিল। বর্তমান মামলার শুনানিতে সেই নির্দেশিকা কার্যকর করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: Social Media: এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও আয়কর দফতরের থাবা, কীভাবে সম্ভব?
স্তন্যদানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ
বিচারপতি বি ভি নাগারত্না এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ বলে, ‘স্তন্যপান একজন শিশুর জন্মগত অধিকার। তা তার বেঁচে থাকা ও বড় হয়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । মা ও সন্তান দু’জনেরই সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে এর উপর। সন্তানের চাহিদা মাথায় রেখে তার খিদে মেটানোর জন্য জায়গা খুঁজতে যেন অসুবিধায় না পড়েন একজন মা। একজন মহিলার মর্যাদাকে মাথায় রেখে বাড়ির বাইরে স্তন্যদানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ দিতে হবে রাষ্ট্রকেই।’
মা-শিশু দু’জনের ভালো থাকা
ভারতীয় সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ এবং আন্তর্জাতিক আইন এবং ২০১৫ সালের কিশোর ন্যায়বিচার (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইনে অন্তর্ভুক্ত ‘শিশুর স্বার্থই সর্বোচ্চ’, এই কথা মনে করিয়েছেন বিচারপতিরা। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে দ্রুত উদ্যোগী হতে পরামর্শও দেন বিচারপতিরা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘নবজাতকের স্বাস্থ্যের বিষয়টি কোনও ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। একজন শিশুর বেঁচে থাকার সঙ্গে যুক্ত স্তন্যপান এবং সেই প্রক্রিয়ায় অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িত মা। এতে মা-শিশু দু’জনের ভালো থাকাই জড়িত।’