ট্রাইব টিভি ডিজিটাল বাংলা: মুম্বই: বাড়ি (Shah Rukh Khan House) কেনার পরেও সম্পত্তি কর দিতে হয়, কিন্তু বলিউডের কিং শাহরুখ খানের ক্ষেত্রে ঘটনা একেবারে উল্টো। আরব সাগরের তীরে প্রাসাদোপম বাংলো ‘মন্নত’-এর জন্য মহারাষ্ট্র সরকার তাঁকে ৯ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে। কয়েক হাজার বা লাখ টাকা নয়, আসলেই এক বিরাট পরিমাণ অর্থ, যা সরকার শাহরুখের কাছে ফিরিয়ে দেবে।
‘মন্নত’ শুধু বাড়ি নয়, দর্শনীয় স্থান (Shah Rukh Khan House)
‘মন্নত’ একদিকে যেমন শাহরুখ খানের জীবনের (Shah Rukh Khan House) একটি অনবদ্য অংশ, তেমনি মুম্বইয়ের একটি আইকনিক স্থানে পরিণত হয়েছে। সরকার শাহরুখকে পুরস্কৃত করছে না, বরং তাঁর জন্য টাকা দিচ্ছে, কারণ এই বাংলো এখন মুম্বইয়ের ‘হেরিটেজ’ সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত। বছর পাঁচেক আগে, ‘মন্নত’-কে সম্পূর্ণ নিজের নামে নিতে উদ্যোগী হন শাহরুখ এবং তাঁর স্ত্রী গৌরী খান। তারা সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে ইজারার জমি ব্যক্তিগত মালিকানায় রূপান্তরিত করতে ২৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছিলেন।
হিসেবের টাকা ফেরত (Shah Rukh Khan House)
তবে পরে হিসেব করে দেখা যায়, তারা প্রয়োজনের (Shah Rukh Khan House) তুলনায় অনেক বেশি টাকা দিয়েছিলেন। ফলে অতিরিক্ত ৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই টাকা ফেরতের অনুমোদন সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া হয়েছে, যা শাহরুখ এবং গৌরী খানের আবেদনের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Padma Shri Award: অরিজিৎ, মমতাশঙ্করের সঙ্গে সম্মানিত আর কারা?
মুম্বই প্রশাসনের বক্তব্য
মুম্বইয়ের মহকুমা শাসক সতীশ বাগাল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে শাহরুখ এবং গৌরী ইজারার জমির উপর ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হিসেব করে দেখা যায় যে, তারা অনেক বেশি টাকা দিয়েছেন। এর পরেই তাঁরা অতিরিক্ত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করেন এবং তাদের আবেদন গৃহীত হয়। শাহরুখ এবং গৌরী এই জমির মালিকানা পেতে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু সরকারের হিসেব অনুযায়ী ৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ছিল।
এখানেও বিতর্ক!
তবে এ নিয়ে কিছু বিতর্কও ছিল। বলা হয়েছিল যে, ‘মন্নত’-এর বাজারমূল্য অনেক বেশি এবং এর তুলনায় যে টাকা শাহরুখ দিয়েছেন, তা খুবই কম। কিন্তু সমস্ত নিয়ম মেনে শাহরুখ এই বাংলোটি সম্পূর্ণ মালিকানায় নিয়ে নেন। এর আগে প্রতি বছর তিনি সরকারকে ২,৩২৫ টাকা ভাড়া দিতেন। আজকের দিনে, ‘মন্নত’ শুধু শাহরুখের বাড়ি নয়, এটি মুম্বইয়ের একটি অন্যতম পর্যটনস্থল। ভক্তরা সেখানে এসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এটি মুম্বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে, যা শহরের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।