ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: SENQ ব্রেকফাস্টের সহ-উপস্থাপক কোরি পার্কারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে (Shamar Joseph), ইয়ান হিলি বলেন যে শামার জোসেফ কার্টলি অ্যামব্রোস নন এবং স্যাম কনস্টাসের চেয়ে তার চিন্তার আরও ভালো দিক রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগুনে স্পেলে জবাব দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার (Shamar Joseph)
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে শামার জোসেফের অতিরিক্ত কোনো অনুপ্রেরণার দরকার পড়ে না (Shamar Joseph)। কিন্তু তবুও তিনি একরকম ‘উপহার’ পেয়েই গেলেন—ইয়ান হিলির কটাক্ষ। প্রথম টেস্ট শুরুর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শামার জোসেফ বলেছিলেন, “শুধু সাবধান থাকো”—এই ছিল অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে ঘিরে তাঁর একমাত্র মন্তব্য। কিন্তু হিলি এই মন্তব্যকে একেবারে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ফেলেন এবং জোসেফকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন।
হিলির মন্তব্য: “তুমি কার্টলি অ্যামব্রোস নও, ভাই” (Shamar Joseph)
SENQ ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে হোস্ট কোরি পার্কারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইয়ান হিলি বলেন (Shamar Joseph), “সে তো সারাবছরই খারাপ খেলেছে গাব্বার সেই ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সের পর। পায়ের আঘাত নিয়ে ভুগছিল, খেলবে ভাবেনি, শেষমেশ মাঠে নামে আর বুঝতে পারে যন্ত্রণা নিয়েও খেলা যায়।” তিনি আরও বলেন, “জোসেফ কনস্টাসকে বলে বসে—দেখে খেলো, যা আসছে সেটা সামলাও। আমি বলছি, তুমি এখনো কিছুই করছ না। ড্রেসিংরুমে আমার বলার কথা, সে এবার একটু ভালো খেলুক। আর তুমি কার্টলি অ্যামব্রোস নও, বুঝলে?”
ব্যাট নয়, বলেই জবাব শামারের
শামার জোসেফ ব্যাটে নয়, বলেই উত্তর দিলেন হিলিকে। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে একের পর এক আউট করে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর প্রতিশ্রুতি ফাঁকা নয়। তিন রানে স্যাম কনস্টাসকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর এক অসাধারণ ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেন ক্যামেরন গ্রিনের। গ্রিনকে শূন্য রানে ফেরানোর সুযোগ ছিল, যদি না স্লিপে ক্যাচ পড়ত। এরপর চতুর্থ নম্বরে স্টিভ স্মিথের বদলি জশ ইনগ্লিস বল মারতে গিয়ে উইকেটকিপার শাই হোপের হাতে ক্যাচ দেন। এই ম্যাচ শাই হোপের চার বছর পর প্রথম টেস্ট, এবং এটি ছিল তাঁর চারটি ক্যাচের প্রথমটি।
জোসেফের আগুনে স্পেল, ১২ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট
উসমান খোয়াজা সাবধানে খেলছিলেন, তবে ট্রাভিস হেড নামার পর তাঁরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। লাঞ্চের পর খোয়াজা যখন ৪৫ রানে ছিলেন, তাঁকে একবার ড্রপ করেন কিং। তবে পরেরবার আর সুযোগ দেননি জোসেফ। তাঁর শার্প ডেলিভারিতে খোয়াজা পিছিয়ে গেলেন, এবং ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। এরপর বিউ ওয়েবস্টারকে বোল্ড করে আরও একটি ধাক্কা দেন জোসেফ। দ্রুত গতির সঙ্গে নিখুঁত লাইনে বল করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি শুধু আগ্রাসীই নন, নিয়ন্ত্রণও রয়েছে তাঁর হাতে। তাঁর ১২ ওভারে ৪ উইকেট নেওয়া স্পেলটি অস্ট্রেলিয়াকে পিছিয়ে দেয়, বিশেষ করে হেডের আক্রমণের পর।
আরও পড়ুন: Karthik on Bumrah: ‘দ্বিতীয় টেস্টে বুমরা খেলতে চাইবেন না’, কেন বললেন দিনেশ কার্তিক
জোসেফ পঞ্চম উইকেট পাওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন, যখন হেড ৫৯ রানে উইকেটকিপার হোপের কাছে ক্যাচ দেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিয়ো প্রমাণে নিশ্চিত হতে পারেননি যে সেটা পরিষ্কার ক্যাচ ছিল কি না, ফলে হেড বেঁচে যান। তবে চায়ের বিরতির পর হেডও ফিরে যান, আর ততক্ষণে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চাপের মধ্যে বড় ম্যাচে জ্বলে উঠলেন শামার
অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেক সিরিজেই নজর কাড়েন শামার জোসেফ। এবার ঘরের মাঠে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। চাপের মুখে বড় মঞ্চে নিজের গতি, আগ্রাসন ও নিয়ন্ত্রণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণে এখন তিনিই মূল ভরসা।