ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শেয়ার বাজারে ধস। সেনসেক্স ১০০০ পয়েন্ট নামলো (Share Market Crash)। লগ্নিকারীদের ৬ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি বাজার খোলার মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে।
সেনসেক্স ও নিফটি বড় পতনের মুখে (Share Market Crash)
ভারতের শেয়ার বাজারে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বড় ধাক্কা লেগেছে (Share Market Crash)। দিনের শুরুতেই সেনসেক্স ১০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গিয়ে ৭৩,৫৭৯.৪৪-তে নেমে আসে। অন্যদিকে, নিফটি ২২,২২৪.১০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
৪৫ মিনিটেই লগ্নিকারীদের ৬ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি (Share Market Crash)
শুক্রবারের বাজার খোলার প্রথম ৪৫ মিনিটেই ব্যাপক ধস নামে (Share Market Crash)। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (BSE) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত বাজার মূলধন বিশালভাবে কমে যায়। এর ফলে লগ্নিকারীরা মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে ৬ লক্ষ কোটি টাকা হারান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা (FPI) টানা অর্থ তুলে নিচ্ছেন, যা বাজারের পতনের অন্যতম কারণ। সেই সঙ্গে কমজোরি আয়ের রিপোর্ট এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: Astro Tips Friday: শরীরের যত্ন নিন, মনকেও দিন আরাম, দিন কাটবে ভালো!
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, “শেয়ার বাজার অনিশ্চয়তাকে পছন্দ করে না। আর ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এই অনিশ্চয়তা বেড়েছে। ট্রাম্পের ধারাবাহিক শুল্ক নীতি বাজারকে প্রভাবিত করেছে। সম্প্রতি চীনের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা বাজারের সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও জোরালো করেছে যে, ট্রাম্প প্রথমদিকে বিভিন্ন দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন এবং পরে মার্কিন আমেরিকার পক্ষে সুবিধাজনক সমাধানের জন্য আলোচনা করবেন।”
আরও পড়ুন: 28 February Horoscope: মা সন্তোষীর আশীর্বাদে ধন সম্পত্তি উঠবে ফুলে ফেঁপে, জানুন আজকের রাশিফল
Axis Securities-এর গবেষণা প্রধান অক্ষয় চিনচলকর বলেন, “টানা সাতদিন নিফটি ও ইন্ডিয়া VIX কমেছে। এর অর্থ, বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন যে, বড় ধরনের পতনের সম্ভাবনা আপাতত নেই, অন্তত বড় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে। সোমবারের গ্যাপ-ডাউনের পর থেকে নিফটি-র দৈনিক ওঠানামা কমেছে, যা বোঝাচ্ছে যে বিক্রির চাপ কিছুটা কমছে। ২২,৫০০-তে তাৎক্ষণিক সাপোর্ট আছে, তারপর ২২,৩৭০-তে। তবে বাজার ২২,৭২০-এর ওপরে বন্ধ হলে তবেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করা যেতে পারে। এখন বাজারের মনোভাব দুর্বল, কারণ NSE500-র মাত্র ১০ শতাংশ শেয়ার তাদের ১০০ দিনের গড়ের ওপরে রয়েছে। তবে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এখনও কোনো স্পষ্ট সংকেত পাওয়া যায়নি।”
আগামিদিনে কী হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহ, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন কর্পোরেট আয়ের রিপোর্টের উপর। তবে বিনিয়োগকারীদের এখনই ধৈর্য ধরে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ বাজারের স্থিতিশীল হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।