ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘আগে ঠিক করুন আপনি কোন দলে রয়েছেন।’ কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সমীক্ষা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে কটাক্ষ করেছেন দলেরই সিনিয়র নেতা কে মুরলীধরন(Shashi Tharoor)।সম্প্রতি কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক হলেও তিরুবনন্তপুরম কেন্দ্রের লোকসভা সদস্য শশী থারুর নিজ রাজ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। রাজ্যেরই আরেক সাংসদ ওয়ানাড়ের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর তুলনাতেও শশীকে কেরলের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, কংগ্রেস নেতা শশী নিজেও কি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চাইছেন?
শশী থারুরকে নিশানা (Shashi Tharoor)
এই আবহে কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরন বলেন, ‘শশী থারুরের আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে তিনি কোন দলের(Shashi Tharoor)।সমীক্ষায় অন্য কেউ এগিয়ে থাকলেও, যদি ২০২৬ সালে কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে ইউডিএফ ক্ষমতায় আসে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ইউডিএফ থেকেই হবেন।তবে আমাদের লক্ষ্য হল নির্বাচনে জয়লাভ করা। আমরা এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে আগ্রহী নই।’ তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের কেরল ইউনিটে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা রয়েছেন, যাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হবে, সমীক্ষা যাই বলুক না কেন। দলের একটি নিয়মকানুন রয়েছে যার ভিত্তিতে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এই মন্তব্যের পরেই কংগ্রেসের সঙ্গে শশী থারুরের টানাপোড়েন আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

কেরলে সমীক্ষা (Shashi Tharoor)
শশী থারুর নিজেও এই সমীক্ষার কথা তুলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন(Shashi Tharoor)। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট কেরলের ভোটে জিতলে তাঁকে দল মুখ্যমন্ত্রী করবে কিনা, যেখানে সমীক্ষা বলছে রাজ্যের শীর্ষ পদের দৌড়ে থারুরই প্রথমে রয়েছেন। মুম্বইয়ের একটি নিরপেক্ষ সংস্থা ভোট ভাইব এই সমীক্ষাটি করেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ পুরুষ ও ২৭ শতাংশ নারী শশীর প্রতিই সমর্থন জানাচ্ছেন। ৩৪.২ শতাংশ বর্ষীয়ানরা (৫৫ বছর বা তার বেশি বয়স) ভোট দিচ্ছেন চারবারের সাংসদকে। ১৮-২৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রেও তিনিই পাচ্ছেন ২০.৩ শতাংশ ভোট। শশী থারুর নিজের এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন ওই সমীক্ষার ফলাফল।
বাম জোট সরকারের বিরোধী হাওয়া (Shashi Tharoor)
অন্যদিকে সমীক্ষা বলছে, কেরলে ভোটের মুখে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম জোট সরকার বিরোধী প্রবল হাওয়া বইছে(Shashi Tharoor)। তবে শশী এতটা সমর্থন পেলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে মানুষ পছন্দ করছেন বাম জোটের কে কে শৈলজাকে। তিনি পেয়েছেন ২৪.২ শতাংশ ভোট। সেখানে ১৭.৫ শতাংশ ভোট পাচ্ছেন পিনারাই বিজয়ন। আপাতভাবে এক কংগ্রেস সমর্থকের পোস্টটিতে ট্যাগ করা হয়েছিল, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডি সতীশনকে। পোস্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ডানপন্থী জোট ২০২৬ সালের কেরল বিধানসভায় জিতলে শশীকেই রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী পদে পছন্দ করেছেন।

আরও পড়ুন-Ajit Doval: ‘অপারেশন সিঁদুরে ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি!’প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ডোভালের
কংগ্রেসে কোণঠাসা শশী থারুর (Shashi Tharoor)
এদিকে, শশী থারুর সমীক্ষায় এত ভোট পেলেও এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি(Shashi Tharoor)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান গেয়ে পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। শশী এআইসিসি সদস্য। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন লড়েছিলেন। এহেন নেতা লাগাতার প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের উলটো পথে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যেই শশী বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েছেন। জরুরি অবস্থার নিন্দা করেছেন।
