ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘জাতীয় স্বার্থে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা আনুগত্যহীন হিসেবে দেখা হয়।’ বিতর্ক উস্কে দিয়ে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে খবরের শিরোনামে এসেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুর(Controversy in Congress)। দলের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তিনি অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসে কোণঠাসা। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কিনা, এই জল্পনার মাঝেই শনিবার ‘জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা জরুরি’ বলে মন্তব্য করলেন থারুর।
গণতন্ত্রে রাজনীতি হল প্রতিযোগিতা (Controversy in Congress)
কোচিতে ‘শান্তি, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শশী থারুর(Controversy in Congress)। সেখানে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত হোক বা অন্যভাবে হোক, যে কোনও গণতন্ত্রে রাজনীতি হল প্রতিযোগিতা। আর ফলস্বরূপ, যখন আমার মতো মানুষ বলে যে আমরা আমাদের দলগুলোকে সম্মান করি… কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অন্যান্য দলের সঙ্গে সহযোগিতা করা প্রয়োজন… কখনও কখনও দলগুলি মনে করে যে এটি তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতক এবং আনুগত্যহীন। এবং এটিই একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আমার সমালোচনা করছেন, কারণ আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। দেশের ভেতরে এবং সীমান্তে সম্প্রতি যা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, এটাই দেশের পক্ষে ঠিক সিদ্ধান্ত। তাই আমি নিজের অবস্থানে অনড় থাকব।’

উন্নত ভারত তৈরি (Controversy in Congress)
কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আমার মনে হয়, দেশ প্রথমে আসে। দলগুলি জাতিকে উন্নত করার একটি মাধ্যম। তাই আমার মনে হয়, আপনি যে দলেরই হোন না কেন, সেই দলের উদ্দেশ্য হল নিজস্ব উপায়ে একটি উন্নত ভারত তৈরি করা। উন্নত ভারত তৈরির সর্বোত্তম উপায় সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন, ধরুন, আরও পুঁজিবাদ। কেউ কেউ আরও সমাজতন্ত্র বলতে পারেন। কেউ কেউ নির্দিষ্ট ধরণের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে হতে পারেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে হতে পারেন। ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এটা ঠিক আছে। কিন্তু পরিশেষে, আমাদের সকলকে একটি উন্নত ভারতের প্রতি, একটি নিরাপদ ভারতের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এমন একটি ভারত গড়তে হবে যার সীমান্ত সুরক্ষিত, ভূখণ্ড নিরাপদ, জনগণের মঙ্গল লালন করা যেতে পারে। এটাই আমার অঙ্গীকার।’
আরও পড়ুন-Woman Commits Suicide: পণের জন্য নির্যাতন-গর্ভপাত! হাতে দোষীদের নাম লিখে তরুণী যা করলেন…
‘ভারত মারা গেলে কে বাঁচবে?’ (Controversy in Congress)
এরপরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর উদ্ধৃতি দিয়ে থারুর বলেন, ‘ভারত মারা গেলে কে বাঁচবে?’ এই সঙ্গেই তাঁর মত, ‘জাতীয় ঐক্যর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অতিক্রম করতে হবে (Controversy in Congress)।’ পরে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে শশীর বার্তা, তাঁর রাজনৈতিক পথচলার মূল দর্শন বরাবরই ‘নেশন ফার্স্ট’ অর্থাৎ দেশ সবার আগে।বিদেশে চাকরি ছেড়ে শুধুমাত্র দেশের সেবা করার উদ্দেশ্যেই তিনি ফিরেছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে হোক বা বাইরে থেকে, তিনি সেই কাজই করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে তাঁর কোন সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে শশী থারুর বলেন যে তিনি এখানে কোন রাজনীতি বা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আসেননি।

আরও পড়ুন-India-China: ‘পহেলগাঁও হামলার দায়…,’ আমেরিকা প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভারত-চিন নিয়ে বিস্ফোরক জয়শঙ্কর
৪৬টি রাজনৈতিক দল (Controversy in Congress)
শশী থারুর বলেন, ‘যদি আমরা সেই আদর্শে বিশ্বাসী হই, তাহলে সেই ধরণের চেতনা সকল দলের অতিক্রম করা উচিত, কেবল দ্বিদলীয় নয় বরং বহুদলীয়(Controversy in Congress)। আপনি সংসদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আজ আমাদের সংসদে, ৪৬টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এমন কিছু বিষয় থাকতে হবে যেখানে তারা সকলেই একমত হয়। এটি অবশ্যই আমার আবেগপূর্ণ দৃঢ় বিশ্বাস। তবে এটা সহজ নয়।’উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের নানা মন্তব্যের ও সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এই জন্য কংগ্রেসের অন্দরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
