ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনেকেরই প্রায় প্রতিদিনের রুটিন — অফিস থেকে ফিরে রাতে স্নান করা (Shower Benefits)। এটা স্বাভাবিক ক্লান্তি মুছতে, পরিচ্ছন্ন থাকতেও সাহায্য করে। তবে রাতের সময় — বিশেষত ঈষদুষ্ণ (হালকা গরম/লুকওয়ার্ম) জলের ব্যবহার, স্নানের সময় ও পদ্ধতি— এগুলো ঠিক রাখলে সুবিধা অনেক, ভুল করলে সমস্যা হতে পারে। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
- ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমায়:
সারাদিনের কাজের ফলে পেশীতে জমে থাকা ক্লান্তি ও টান ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে হালকা হয়ে যায়। গরম জলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, পেশী শিথিল হয় — ফলে মানসিক চাপও কমে। - ঘুম ভালো হয়:
ধীরভাবে শরীরের তাপমাত্রা নামা এবং তাতে সৃষ্ট শিথিলতা ঘুম ত্বরান্বিত ও গভীর করে। রাতে স্নানের পরে অনেকেই দ্রুত ও গভীর ঘুমের কথা বলেন। - পেশী ব্যথায় আরাম: (Shower Benefits)
দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ, ঘাড়–কাঁধে টান, পিঠে ব্যথা ইত্যাদি থাকলে হালকা গরম জলে স্নান পেশীতে রক্তসরবরাহ বাড়িয়ে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ক্ষতি ও সতর্কতা (Shower Benefits)
- অতিরিক্ত গরম জল ত্বকের ক্ষতি করে:
বারবার বা দীর্ঘক্ষণ অত্যন্ত গরম জলে স্নান করলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও কুঁচকে যেতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে গেলে সেটি জলাশূন্য ও সংবেদনশীল হয়। - চুলের ক্ষতি:
গরম জল চুলের কিউটিকল তরল করে, চুলের প্রাকৃতিক তেল কমায় — ফলে চুল ঝাড়া ও ভঙ্গুর হয়; স্ক্যাল্পও শুষ্ক হয়ে যায়। - শারীরিক রোগী ও প্রবীণদের ঝুঁকি:
হৃদরোগ, উচ্চ/নিম্ন রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলে হঠাৎ গরম/ঠান্ডা পরিবর্তন শরীরে ঝটকা দিতে পারে— বিশেষত খুব রাতে। - প্রচলিত ভুল — খুব দীর্ঘ স্নান:
দীর্ঘক্ষণ স্নানের ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত তেল ও আর্দ্রতা চলে গিয়ে ত্বক খসখসে হতে পারে; ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সঠিক পদ্ধতি জানুন (Shower Benefits)
- জলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন: ঈষদুষ্ণ (হালকা গরম) রাখুন — খুব গরম নয়; আরামদায়ক এমন তাপ যাতে ত্বকে জ্বালা না লাগে (Shower Benefits)।
- স্নানের সময়সীমা: সাধারণত ১০–১৫ মিনিট যথেষ্ট; দীর্ঘ স্নান এড়িয়ে চলুন।
- নরম-মাইল্ড সোপ ব্যবহার করুন: হাইড্রেটিং বা জেন্টল বডিওয়াশ বেছে নিন, যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল পুরোপুরি নষ্ট না হয়।
- স্নানের পরে দ্রুত ময়েশ্চারাইজ করুন: স্নানের ৩–৫ মিনিটের মধ্যে হালকা ময়শ্চারাইজার বা বডি লোশন মাখলে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে থাকে।
- চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা: চুল ভালোমতো কন্ডিশন করুন; খুব গরম জলে ধুবেন না; রাতে ভেজা চুল রেখে ঘুমালে স্ক্যাল্পে সমস্যা বাড়তে পারে— তাই হালকা ড্রাই বা কমপক্ষে টাওয়েল ড্রাই করে নিন।
রাতের স্নানের জন্য সহজ নির্দেশিকা
- জলের তাপমাত্রা: হালকা গরম (ঈষদুষ্ণ) — আরামদায়ক হলে যথেষ্ট।
- সময়: ১০–১৫ মিনিট পর্যাপ্ত।
- স্যাবাস: মাইল্ড সোপ/বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
- পরে: শরীর দ্রুত ময়েশ্চারাইজ করুন।
- চুল: গরম না করে কম উষ্ণ জলে ধুয়ে দ্রুত ড্রাই করুন।
- অসুস্থ হলে: স্নান আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: Dev -Subhashree: প্রাক্তনের সাথে দেবের নাচ, ক্ষমা চাইলেন রুক্মিণীর কাছে!
রাতে স্নান— বিশেষত ঈষদুষ্ণ জলে— অনেকের জন্য আরাম, ক্লান্তি-উপশম ও ভালো ঘুমের দরজা খুলে দেয়। তবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত গরম এড়িয়ে চলা, সংক্ষিপ্ত সময় ও স্নানের পরে যথোপযুক্ত ত্বক-চুলের যত্ন না করলে তা ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। কারও ব্যক্তিগত শারীরিক অসুবিধা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।