ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রেমিক-প্রেমিকার হাতে হাত রেখে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেওয়া। আবার অফিসের ফাঁকে পছন্দের কলিগের সঙ্গে আড্ডা কিংবা ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চা, যাকে ছাড়া দিনটাই অস্বস্তির। আবার দিনশেষে সারাদিনের পলিটিক্সের গল্প জমানোর অন্যতম জায়গা সেই চায়ের দোকানই। এবার ‘চায়ের আড্ডা’ দুর্গাপুজোতেও। শুড়াঁ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি তাদের থিমের মধ্যেই তুলে ধরেছে উত্তর কলকাতার অবলুপ্ত চায়ের দোকান।
চা প্রেমী মানুষ থাকলেও ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে চায়ের দোকান। আজকালকার ছেলে-মেয়েরা মেতে উঠেছে কফি কিংবা কফি সপের আড্ডাতে। তবে সেই চায়ের দোকানের আড্ডাকেই শহরবাসীকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে শুড়াঁ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। ৮৩ তম বর্ষে পা ফেলেছে তাদের এবারের পুজো।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/chetla-agrani-club-durga-puja-theme-ganges-pollution/
আড্ডায় মজে বাঙালির দু’টোকে তিনটে, তিনটে কে চারটে অর্থাৎ চা ভাগ করে খাওয়ার বার্তা তথাকথিত সমাজে প্রায় বিলিনের পথে। সেসময় চায়ের ধোঁয়ায় তর্ক-বিতর্কে মেতে উঠত আপামর বাঙালি। কিন্তু আজকের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পরিবর্তনের পথে। বর্তমানে মোবাইলের যুগে যা এখন অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এই রীতি। বহু পুরনো এবং প্রাচীন সংস্কৃতি হল আড্ডা, যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মেতে উঠত। সেই চিত্র নিজেদের পুজো মণ্ডপে তুলে ধরছে শুড়াঁ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
পাশাপাশি, টিনের চালের যে সমস্ত বাড়ি ছিল। সেই বাড়ি গুলোর ঠিক নিচেই বসত ছোট ছোট চায়ের দোকান এবং যা নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতো বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষেরা। সারাদিনের এই ক্লান্তি মিটিয়ে যখন একসাথে মেতে উঠত আড্ডায়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে সেই স্মৃতিই ফিরিয়ে আনল শুড়াঁ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।