ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আজকের দিনে অনেকেই ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিংবা শখের বশে ঘরে অ্যাকোরিয়াম (Fish Aquarium) রাখেন। রঙিন মাছের চলাফেরা শুধু চোখকে প্রশান্তি দেয় না, মনকেও করে তোলে শান্ত । তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই অ্যাকোরিয়াম শুধু শখ বা সৌন্দর্য বৃদ্ধির একটি উপকরণ নয়, এটি ঘরের বাস্তুদোষ কাটাতে এবং আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত করতেও সক্ষম। বাস্তুশাস্ত্র হল এমন এক প্রাচীন বিজ্ঞান, যা আমাদের আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করার উপায় দেখায়। সেই অনুযায়ী, অ্যাকোরিয়ামের অবস্থান, তার ভিতরে থাকা মাছের সংখ্যা এবং প্রজাতি—সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চললে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ে।
কোন দিকে রাখবেন অ্যাকোরিয়াম ? (Fish Aquarium)
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, মাছের অ্যাকোরিয়াম ঘরের উত্তর-পূর্ব (ইশান কোণ) অথবা দক্ষিণ-পূর্ব (অগ্নি কোণ) দিকে রাখা উচিত (Fish Aquarium)। উত্তর-পূর্ব কোণ আর্থিক প্রবাহ এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করে, যা ব্যক্তির ক্যারিয়ারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সৌভাগ্য, শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা সংসার এবং পেশাগত জীবনে সাফল্য আনে। তবে অ্যাকোরিয়াম কখনোই শোবার ঘরে রাখা উচিত নয়, কারণ তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং মানসিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন : Grey Hair Remedy: অল্প বয়সেই পাকা চুল? এই ঘরোয়া উপাদানে মিলবে সমাধান
মাছের সংখ্যা এবং প্রজাতি নির্বাচন (Fish Aquarium)
ঘরে ফিশ অ্যাকোরিয়াম (Fish Aquarium) রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ভিতরে মাছের সংখ্যা এবং তাদের প্রজাতি নির্বাচন। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, অ্যাকোরিয়ামে মোট ৯টি মাছ রাখা শুভ। এর মধ্যে আটটি মাছ একই প্রজাতির হওয়া উচিত, তবে তাদের রঙ বিভিন্ন হতে পারে। নবম মাছটি ড্রাগনফিশ হওয়া উচিত, যা প্রাচীন কালে রাজকীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হত। এটি সৌভাগ্য, প্রাচুর্য এবং সুরক্ষার প্রতীক। গোল্ডফিশও অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। এটি ঘরে সম্পদ ও সুখ আনতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিশ অ্যাকোরিয়াম মানসিক শান্তি প্রদান করে, কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায় এবং ঘরের পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। এমনকি, আলঝেইমার বা অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রেও অ্যাকোরিয়ামের সামনে কিছুটা সময় কাটানো মানসিক স্বস্তি এনে দেয় এবং ঘুমের গুণমান উন্নত করে।