ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জলপাইগুড়িতে সিমকার্ড (SIM Card Scam) জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়, তবে সম্প্রতি এই নিয়ে নয়া খবর এসেছে প্রকাশ্যে। অভিযোগ উঠেছে, মোট ১৭২টি সিমকার্ডের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগের পর পুলিশ গত কয়েকদিনে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার ধৃত দুই অভিযুক্তের নাম দীপায়ন মণ্ডল ও মহম্মদ মমিন, যাদের বাড়ি মালবাজারে।
বিশেষ তদন্তকারী দল (SIM Card Scam)
পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ির এই জালিয়াতি (SIM Card Scam) চক্রের সাথে দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের যোগসূত্রও রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার খন্ডবাহালে উমেশ গনপত সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, সিমকার্ড জালিয়াতি প্রতিরোধে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে, যা অন্যান্য রাজ্যে তদন্ত করতে যাবে।
মহিলার নাম করে প্রতারণা
প্রথম অভিযোগ আসে সাউথ ইস্ট দিল্লির সাইবার পুলিশ স্টেশনে রুপেশ কুমার ঠাকুরের কাছ থেকে, যিনি জানান, তাঁর সঙ্গে ১৬ হাজার টাকার আর্থিক প্রতারণা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে জানায়, এই প্রতারণা একটি মহিলার নাম ব্যবহার করে করা হয়েছিল, যার নাম প্রিয়াঙ্কা। তবে এখনো প্রিয়াঙ্কার খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: হুমকির ভয়! সপরিবারে মন্নত ছেড়ে কিং খানের ঠাঁই ভাড়া বাড়িতে
৩৫টি সিম বাজেয়াপ্ত
এদিকে, জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তের সময় অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তারা কাস্টমারের পরিচয়পত্র জাল করে একাধিক সিম সক্রিয় করে রাখত এবং পরে সেগুলো বাইরের রাজ্যে পাঠাত। পুলিশ এই ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে দেখছে কীভাবে সিমকার্ডগুলি অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছিল।
দায়ের মামলা
এমন পরিস্থিতিতে, সিমকার্ড ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বাড়াতে পুলিশ উদ্যোগ নিচ্ছে। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আশা করছে, তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ঘটনার মূল হোতাদের শনাক্ত করা যাবে।