ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পুজোর শেষ। শহরজুড়ে এবার শীতের আমেজ। রাতের হিমেল হাওয়া, সকালের কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত আসতে বেশিদিন নেই। নভেম্বর পড়তে না পড়তেই ঠাণ্ডার অপেক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু শীতকাল আসলেই চিন্তা বাড়ায় ত্বক। স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা হাওয়ার দাপটে জৌলুস হারিয়ে ফেলে ত্বক (Dry Skin)। শিরশিরানি হাওয়া শুরু হলেই ত্বক হয়ে ওঠে স্পর্শকাতর, খসখসে, নিস্তেজ। হাত ও পায়ের ত্বকে টান-টান ভাব, ঠোঁট ফাটার প্রবণতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। শীতকালে শুষ্কতা কাটাতে (Skin Care) আরেক রকম রুটিন মেনে চলা উচিত। শীতের দিনে ত্বকে হাইড্রেটেড ও প্রাণবন্ত রাখবেন কীভাবে, এই সময় কী কী একেবারেই করবেন না, তার সহজ কিছু টিপস নোট করে রাখুন।
ত্বক ফাটার সম্ভাবনা তৈরি হলে, ত্বকে টান ধরার উপক্রম হলে আগে থাকতেই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ওয়াটার বেসড কোনও ময়শ্চারাইজার না ব্যবহার করে অয়েল বেসড ময়শ্চারাইজারের ওপরে ভরসা করা যেতে পারে। যাঁরা সারা দিনের কোনও সময়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না, তাঁরা নির্দ্বিধায় কোনও অয়েল বেসড নাইট ক্রিম লাগাতে পারেন(Skin Care) । তবে শীতে আমন্ড, সিয়া বাটার এসব কিন্তু খুব ভালো কাজ করে। এসব ছাড়াও প্রাকৃতিক কিছু টোটকাও কাজে লাগাতে পারেন। ঘরে থাকা সামন্য উপকরণেই কিন্তু কাজ সারতে পারেন।
আরও পড়ুন: কিডনী সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি
আরও পড়ুন: নানাগুনে ভরপুর, শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম ঠিক রাখতে পান করুন এই পানীয়
পর্যাপ্ত জলপান:
সাধারণত শীতকালে আমরা প্রত্যেকেই কম পরিমাণে জল পান করি। শরীরে জলের ঘাটতির কারণেও ত্বক শুকনো ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। লক্ষ্য রাখবেন, শীতে যাতে শরীরে যথেষ্ট জলের অভাব না হয়। জলের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অল্প গরম জল পান অভ্যাস করলে সুফল দেয়।

গরম জল এড়িয়ে চলা:
শীতকালে গরম জল ছাড়া স্নান করা যায় নাকি! ঠিকই। কিন্তু হট শাওয়ারের নিচে বেশিক্ষণ সময় থাকবেন না। শীতকালে গরম জলে স্নান করলে মাংশপেশি স্বস্তি পায়। তবে মুখের ত্বকে তা ব্যবহার না করাই ভালো। সে ক্ষেত্রে গরম বা ঠাণ্ডা জলের পরিবর্তে সামান্য গরম জল দিয়ে মুখ ধোওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে নিরিবিলিতে কাটাতে চান? কলকাতার বাইরে যাওয়ারও সময় নেই? রইল ৫ ‘হট ডেস্টিনেশন’র হদিশ
ত্বক ময়শ্চারাইজড:
শীতকালে ত্বককে ময়শ্চারাইজড রাখা অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। নারকেল তেল, ক্যাস্টর তেল, অলিভ তেল, দইয়ের ঘোল ও শশা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করলে সুফল মেলে(Skin Care) । শরীরের তুলনায় মুখের ত্বকে কম তেলগ্রন্থি থাকে, তাই ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়। ল্যানোলিন, শিয়া বাটার, পেট্রোলিয়াম জেল, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড-যুক্ত ময়েশ্চারাইজারগুলি এই আবহাওয়ায় ব্যবহার করুন।

ফেস মাস্ক:
এই সময় ত্বককে শান্ত, কোমল, ময়েশ্চারাইজড করে তোলার জন্য পছন্দ মত ফেসমাস্ক প্রয়োগ করতে পারেন। তবে তাতে যেন হাইলুরোনিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি থাকে, তা একবার দেখে নেওয়া উচিত। তাতে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও আর্দ্র এবং শীতকালে বাড়ির বাইরে বের হলেই SPF 30 ও PA+++ সহ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
