ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কোলেস্টেরল(Cholesterol) হলো আমাদের শরীরের মোমের মতো আঠালো একটি পদার্থ। আমাদের শরীরে দুই ধরণের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। একটি হলো ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এবং অন্যটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)। খারাপ কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে ধীরে ধীরে তা শিরায় জমা হতে শুরু করে এবং এর জেরে ধমনী ব্লক হতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং করোনারি হৃদরোগের মতো নানা গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে আজকাল উচ্চ কোলেস্টেরল খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে শরীরে অনেক ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়। এর মধ্যে কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয় ত্বকেও। জেনে নিন কোলেস্টেরল বাড়লে ত্বকে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের রঙের পরিবর্তন (Cholesterol)
উচ্চ কোলেস্টেরলের(Cholesterol) ক্ষেত্রে, ত্বকে রঙের পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। এর ফলে মুখের রঙ হলুদ বা হালকা কালো হতে শুরু করে। রক্ত সঞ্চালন খারাপ হওয়ার কারণে এটি ঘটে। এই ধরনের লক্ষণ দেখতে পেলে কোলেস্টরল পরীক্ষা করান এবং অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বকে নীল বা বেগুনি দাগ (Cholesterol)
ত্বকে নীল বা বেগুনি দাগ দেখা গেলেও তা উচ্চ কোলেস্টেরলের(Cholesterol) লক্ষণ হতে পারে। আসলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণে রক্তপ্রবাহ সঠিক ভাবে হয় না। যদি কারও হাত, পা বা মুখে নীল কিংবা বেগুনি দাগ বা জালের মতো প্যাটার্ন দেখা যায়, তা হলে কখনোই তা উপেক্ষা করবেন না। সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যান।

আরও পড়ুন: Walking Tips: রোজ রাতে খাওয়ার পর হাঁটুন কিছুক্ষণ, মিলবে উপকার
চোখের চারপাশে হলুদ দাগ
খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে চোখের চারপাশে হলুদ আস্তরণ জমতে শুরু করে। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে জ়্যানথেলাসমা। ত্বকের নীচে চর্বি জমার কারণে এটি তৈরি হয়। এ ছাড়াও চোখের চারপাশে ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো দেখা দিতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

ত্বকে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল(Cholesterol) বেড়ে গেলে, ত্বকে প্রচুর চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে। আবার কোনও আপাত কারণ ছাড়াই ত্বকে ফোলাভাবও উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। এই রকম লক্ষণ দেখা গেলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সোরাইসিস
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে সোরাইসিসের সমস্যা শুরু হয়। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে হাইপারলিপিডেমিয়া। এর ফলে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায় এবং ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।