ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রায় দু’বছর পর ছোটপর্দায় ফিরছেন টলি পাড়ার অভিনেতা সোহেল দত্ত (Sohail Dutta Comeback)। তাও আবার নেগেটিভ চরিত্রে (Negetive Character)। উচ্ছে বাবু অর্থাৎ আদৃত রায়ের (Adrit Roy) সঙ্গে দেবেন জোড় টক্কর।
আসছে নতুন ধামাকা (Sohail Dutta Comeback)
কয়েক দিনের মধ্যেই জি বাংলার (Zee Bangla ) পর্দায় আসতে চলেছে ধামাকা। আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘মিত্তির বাড়ি’ (Mittir Bari)। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সোহেল দত্তকে। দু’বছর পর ছোটপর্দায় ফিরে কেমন লাগছে অভিনেতার (Sohail Dutta Comeback)? হঠাৎ করে নেগেটিভ চরিত্রের অফার পেলেন। বিষয়টাকে কিভাবে নিয়েছেন? আদৃতের সঙ্গে অভিনয়। অপরদিকে সৌমিতৃষা সোহেলের ভালো বন্ধু।
নতুন নায়িকা
তবে এবার আদৃতের সঙ্গে সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu) নন, নায়িকা হচ্ছেন দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ (Indubala Bhaater Hotel)-এর ছোট ‘ইন্দু’ পারিজাত চৌধুরী (Parijat Chaudhuri)। সোহেল এই নতুন ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে কতটা আশাবাদী? সবটাই জানালেন আমাদের।
অভিনেতার কালীপূজো (Sohail Dutta Comeback)
অভিনেতা সোহেলের নিজের বাড়িতেই কালীপুজো (Kalipuja) হয়। তিনি মনে করছেন, জি থেকে এই অফার মা কালীর একটা বড় উপহার। টানা দু’বছর পর তিনি সিরিয়ালে ফিরছেন। সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল ‘ক্যানিংয়ের মিনু’ (Canning-Er-Minu) ধারাবাহিকে। হঠাৎ করে এই তার কাছে জি বাংলার তরফ থেকে একটা প্রস্তাব আসে। ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড গল্প। মিত্তির বাড়ির প্রোমো শুটিং হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই সেটি দর্শকদের সামনে আসবে।
আরও পড়ুন: One Month Anniversary: মধুমিতার প্রেমের এক মাস! কে আগে প্রপোজ করেছিলেন? ফাঁস সত্যি
বুম্বা দার প্রোডাকশন
বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee ) প্রোডাকশনের কাজ। এই বিষয়ে সোহেলের বক্তব্য, তিনি ছোটবেলায় বুম্বাদার সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। এমনকি বুম্বাদার ছেলের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। এর আগে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির হাউসে তিনি কাজ করেছিলেন, অদ্বিতীয়া বলে একটি ধারাবাহিকে। আপাতত মিত্তির বাড়ি নিয়ে বুম্বাদার সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। তবে টিমের সবার সঙ্গে কথা হয়েছে।
কোন ভূমিকায় সোহেল? (Sohail Dutta Comeback)
এখানে সোহেলের চরিত্রটা কোন ভূমিকায় দেখা যাবে? এটি ফ্যামিলি ওরিয়েন্টের ধারাবাহিক। তাই এখানে প্রত্যেকটা চরিত্রের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। সোহেলকে দেখা যাবে আদৃতের ভাইয়ের চরিত্রে। তবে চরিত্রটি নেগেটিভ। ধারাবাহিকের গল্প একটা বাড়িকে কেন্দ্র করে। বাড়িটি বেশ পুরনো। যেখানে দাদু-দিদা থাকেন। তাদেরকে নাতি-নাতনিরা চান দাদু-দিদাকে কলকাতায় রেখে, বাড়িটাকে বিক্রি করে দিতে। আপাতত গল্পের এইটুকু সামনে এসেছে। বাকিটা রয়েছে পুরোটা সিক্রেট হিসেবে। এক্ষেত্রে সোহেল সবসময় মনে করেন, তিনি ঠিক। আর তার দাদা অর্থাৎ আদৃত যা বলছেন সবই ভুল। পর্দায় দাদা-ভাইয়ের একটা জোর টক্কর দেখতে চলেছেন দর্শক।
আরও পড়ুন: Vidya Balan: মায়ের শহর কলকাতায় আরজি কর কাণ্ড! হতবাক বিদ্যা বালান
কাজ করে খুশি
চরিত্র নেগেটিভ হলেও, অভিনেতা সোহেল কাজ করে বেশ খুশি । কারণ তিনি কাজকে ভালবাসেন। তাছাড়া ‘মিত্তির বাড়ি’ ধারাবাহিক দর্শকদের দিতে চলেছে একটা স্ট্রং মেসেজ। যেখানে পজেটিভ চরিত্রের পাশাপাশি নেগেটিভ চরিত্রগুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া নেগেটিভ চরিত্র অভিনয়ের সুযোগটা বেশি থাকে, মনে করছেন অভিনেতা।
বন্ধুরা সবাই অভিনয়ে
সোহেলের সঙ্গে এক দিকে যেমন সৌমিতৃষা কুন্ডুর খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। তেমনি আদৃতের সঙ্গে তিনি অভিনয় করতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে একটা ভালো বন্ডিং তৈরি হবে। তবে এখনও নতুন কাজ সম্পর্কে সৌমিতৃষার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে নিশ্চিত জানাবেন বলে জানান।
রাজনীতিতে জড়িয়ে
সোহেল অভিনয়ের পাশাপাশি ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন রাজনীতির সঙ্গে। তবে অভিনয় করছেন বলে যে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন, এমনটা নয়। রাজনীতিটাও তার কাছে ভালো লাগার জায়গা। ওটা ওটার মত থাকবে। পাশাপাশি চলবে ধারাবাহিকের কাজ।