ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : বাড়ির অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সের তুলনায় ফ্রিজের যত্ন (Fridge maintenance) একটু বেশি দরকার পড়ে। কারণ সারা সপ্তাহের বাজার, রান্না করা খাবার, দুধ, ফল-মূল, ওষুধ এমনকি বাচ্চাদের খাবার—সবকিছুই অনেক সময় ধরে সংরক্ষণ করতে হয় এই একটি মেশিনেই। ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেলে যেমন বাড়ে খরচ, তেমনই নষ্ট হয় প্রয়োজনীয় খাবারও। তাই নিচের এই সহজ কিন্তু কার্যকর পাঁচটি টিপস মেনে চললেই আপনার ফ্রিজ দীর্ঘদিন ভালো চলবে এবং খাবারও থাকবে নিরাপদ ও টাটকা।
বারবার ফ্রিজের দরজা খোলা নয় (Fridge maintenance)
অনেকেই অপ্রয়োজনেও ফ্রিজের দরজা খুলে রাখেন (Fridge maintenance)। এটা খুব খারাপ অভ্যাস। যখনই দরজা খোলা হয়, বাইরের গরম ও আর্দ্র হাওয়া ভিতরে ঢুকে পড়ে। এতে ফ্রিজের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা বারবার ওঠানামা করে, যার ফলে ফ্রিজের কম্প্রেসারকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে শুধু খাবারই নষ্ট হয় না, বরং দীর্ঘমেয়াদে ফ্রিজের যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
টিপস: দরজা খোলার আগে ভাবুন কী লাগবে, দ্রুত দরজা বন্ধ করুন এবং শিশুদের অকারণে ফ্রিজ খুলতে নিরুৎসাহিত করুন।
সব খাবার ফ্রিজে রাখা যায় না (Fridge maintenance)
ফ্রিজ মানেই সব জিনিস সেখানে রেখে দেওয়া যাবে—এমনটা ভাবা ভুল (Fridge maintenance)। আলু ও পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর স্বাদ ও গঠন দুটোই নষ্ট হয়। আলু ঠান্ডায় গিয়ে শ্বেতসার (starch) চিনি হয়ে যায়, ফলে রান্নার স্বাদ বদলে যায়। পেঁয়াজ আর্দ্রতা শোষণ করে নরম ও পচনশীল হয়ে পড়ে। টমেটোও ফ্রিজে রাখলে তাতে থাকা এনজাইমগুলো ভেঙে যায় এবং তা চটচটে হয়ে পড়ে।
টিপস: এগুলো ঠান্ডা, বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রেখে দিন। শুধু চড়া গরমে বা কাটা টমেটো থাকলে ফ্রিজে রাখুন।
নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য
প্রতিদিন খাবার রাখার সময় বা কিছু বের করার সময় অল্প হলেও খাবারের টুকরো, তরল বা দুধ জাতীয় জিনিস পড়ে যেতে পারে। এগুলো জমে দুর্গন্ধ তৈরি করে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এতে ফ্রিজের পরিবেশ যেমন নোংরা হয়, তেমনি ফ্রিজে রাখা অন্য খাবারও দূষিত হতে পারে।
টিপস: প্রতি সপ্তাহে একদিন ফ্রিজ খালি করে নরম কাপড় ও ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে মুছে নিন। দুর্গন্ধ কমাতে একটুকরো লেবু বা বেকিং সোডাও রেখে দিতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় জিনিসে ফ্রিজ বোঝাই করবেন না
ফ্রিজের ভেতরে ঠান্ডা বাতাস সঞ্চালনের জন্য যথেষ্ট খালি জায়গা থাকা প্রয়োজন। অনেক সময় আমরা অতিরিক্ত জলের বোতল, পুরনো প্যাকেট রেখে ফ্রিজ ভরিয়ে ফেলি। এতে ঠান্ডা হাওয়া ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না এবং ফ্রিজ সমানভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। ফলস্বরূপ, কিছু অংশ অতিরিক্ত ঠান্ডা আর কিছু অংশ গরম হয়ে যায়।
টিপস: সপ্তাহে অন্তত একবার ফ্রিজের স্টক পর্যালোচনা করুন, পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস বের করে ফেলুন।
আরও পড়ুন : Daily Horoscope: লক্ষ্মীবারে লক্ষাীলাভের সম্ভাবনা, কর্মেও উন্নতির যোগ, জানুন আজকের রাশিফল…
ফ্রিজের কয়েল পরিষ্কার রাখা জরুরি
ফ্রিজের পিছনের দিকে বা নিচে থাকা কন্ডেনসার কয়েল ফ্রিজ ঠান্ডা রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি এই কয়েলে ধুলো-ময়লা জমে যায়, তবে ফ্রিজের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। তখন কম্প্রেসারকে আরও বেশি কাজ করতে হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে এবং যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হয়।
টিপস: প্রতি ৩ থেকে ৬ মাসে একবার ফ্রিজের পিছনের অংশ খুলে হালকা ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কয়েল পরিষ্কার করুন (বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে)। প্রয়োজনে টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।