ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার রাতে এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ (Kalchini Case)। এক ঘরে মায়ের মৃতদেহ, পাশের ঘরে বসে ছেলে! ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালচিনি ব্লকের সাতালি চা বাগানের ফিটার লাইনে। সোমবার রাতে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয়েছে বৃদ্ধার ছেলেকে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কীভাবে মৃত্যু হল মহিলার? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি দু’জনকে (Kalchini Case)
মৃতের নাম সোমালি তিরকি। তাঁর বয়স ৬০ বছর। ছেলে আবিরের সঙ্গে বাগানের ফিটার লাইনে থাকতেন তিনি (Kalchini Case)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা হয়। আশপাশের লোকজন তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন। এরপর পর থেকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি দু’জনকে। সোমবার সকাল থেকেই স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। বিকেল নাগাদ তাঁরা বুঝতে পারেন, সোমালির বাড়ি থেকেই দুর্গন্ধ ছাড়ছে।
নিজের ঘরেই বন্দি (Kalchini Case)
প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, একটি ঘরে পড়ে রয়েছে সোমালির মৃতদেহ। পাশের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন বৃদ্ধার ছেলে আবির। সে নিজেকে ঘরে বন্দি করে রেখেছিল বলেই খবর (Kalchini Case)। স্থানীয় বাসিন্দারাই গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকেই ওই বৃদ্ধার ছেলেকে আটক করে হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ। দেহটি ময়নাদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: রাজ্যের নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগে নেই বাধা! স্থগিতাদেশ তুলে নিল হাই কোর্ট
মা-ছেলের তীব্র বচসা
এলাকাবাসীর দাবি, শনিবার মা-ছেলের তীব্র বচসা হয়। সেটা তাঁরা শুনতে পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই সব চুপ। শনিবারের পর থেকে তাঁদের দু’জনকে আর কেউ দেখেননি বলে জানাচ্ছেন। এরপর সোমবার ফিটার লাইনের আবাসন থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা আবিরের বাড়িতে যান। গিয়ে দেখেন একটি পড়ে সোমালি তিরকির নিথর দেহ। পাশের ঘরে ছেলে আবির তিরকি।
বিচ্ছেদের ভয়ে স্বাভাবিক বোধ-বুদ্ধি লোপ?
আত্মীয়ের দেহ আগলে বসে থাকা সাধারণত কোম্পলসিভ গ্রিফ ডিসঅর্ডার (Compulsive Grief Disorder) বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (PTSD)-এর লক্ষণ হতে পারে। এই মানসিক পরিস্থিতিতে কোনও ব্যক্তি হঠাৎ প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নিতে পারেন না। শোক, অপরাধবোধ বা বিচ্ছেদের ভয়ে স্বাভাবিক বোধ-বুদ্ধি লোপ পায়। আর তখনই তিনি মৃতদেহের সঙ্গে থাকতে চান। মানসিক অসংলগ্নতা, বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্নতা, আতঙ্ক বা ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। আবিরের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।