ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের সামাজিক কাঠামোয় (Son-in-law Property Rights) শ্বশুরমশাই ও জামাইয়ের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই ঘনিষ্ঠ ও পারিবারিক। অনেক ক্ষেত্রেই এই সম্পর্ক পিতা-পুত্রের মতো হয়ে ওঠে। তবে এই আত্মিক সম্পর্ক কি আইনি অধিকার সৃষ্টি করে? বিশেষত সম্পত্তির ক্ষেত্রে কি জামাইয়ের কোনও আইনসম্মত দাবি তৈরি হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ নয়, কারণ ধর্মীয় ও আইনগত নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে।
সম্পত্তিতে কোনও স্বয়ংক্রিয় অধিকার নেই (Son-in-law Property Rights)
ভারতের উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, জামাইয়ের শ্বশুরমশাইয়ের সম্পত্তিতে (Son-in-law Property Rights) কোনও স্বয়ংক্রিয় অধিকার নেই। হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ১৯৫৬ অনুসারে, জামাইকে উত্তরাধিকারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অর্থাৎ শ্বশুরমশাই যদি মৃত্যুবরণ করেন এবং উইল না রেখে যান, তাহলে তাঁর জামাই সরাসরি কোনও দাবি করতে পারেন না।
পরোক্ষভাবে অংশীদার (Son-in-law Property Rights)
তবে একমাত্র স্ত্রী যদি তাঁর বাবার সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে পান, তাহলে সেই সম্পত্তিতে (Son-in-law Property Rights) জামাই পরোক্ষভাবে অংশীদার হতে পারেন। স্ত্রীর মালিকানায় থাকা সম্পত্তি পারিবারিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, তা জামাইয়ের নামে নথিভুক্ত হবে না যতক্ষণ না স্ত্রী স্বেচ্ছায় তা হস্তান্তর করেন বা যৌথ মালিকানায় রাখেন।
রেজিস্টার্ড উইল
আবার শ্বশুরমশাই যদি জীবিত অবস্থায় রেজিস্টার্ড উইল বা গিফট ডিডের মাধ্যমে জামাইকে সম্পত্তি দিতে চান, তা আইনের দৃষ্টিতে বৈধ। এই ক্ষেত্রে জামাই সেই সম্পত্তির ওপর পূর্ণ অধিকার লাভ করতে পারেন। অর্থাৎ, শ্বশুরমশাই যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর জামাইকে কিছু দিয়ে যেতে চান, তাহলে আইন তার স্বীকৃতি দেয়।

আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আজীবন নিশ্চিন্ত পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা
মুসলমান ধর্মীয় আইনে, শরীয়ত অনুযায়ী, শ্বশুরমশাই তাঁর সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত ইচ্ছানুযায়ী কাউকে উইল করে দিয়ে যেতে পারেন। এই তালিকায় জামাইও থাকতে পারেন, যদি তাঁকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই নিয়ম প্রযোজ্য। অতএব বলা যায়, জামাইয়ের শ্বশুরমশাইয়ের সম্পত্তিতে সরাসরি কোনও আইনগত অধিকার নেই, যতক্ষণ না উইল বা গিফট ডিডের মাধ্যমে তাকে কিছু দেওয়া হয় বা স্ত্রী উত্তরাধিকারে কিছু পেয়ে থাকেন।