ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কোরিয়ায় এবার একটি যাত্রীবাহী বিমানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড(South Korea Plane Crash)। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় বুসান শহরের বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে গেছে। ১৬৯ জন যাত্রী ছাড়াও সাত জন ক্রু সদস্য ছিলেন উড়ানটিতে। বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমানের পিছনের অংশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
রানওয়েতে চলাকালীন আগুন (South Korea Plane Crash)
জিমহায়ে বিমানবন্দরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎই রানওয়েতে চলাকালীন আগুন(South Korea Plane Crash) ধরে যায় এয়ার বুসানের বিমানটিতে। সে দেশের সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানাচ্ছে, সে সময় বিমানটি হংকংয়ে উড়ান শুরু করতে চলেছিল। কিন্তু সে সময় হঠাৎই বিমানের পিছনের অংশে আগুন ধরে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুসানের গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন ধরে যাওয়া এয়ার বুসানের ওই প্লেনে ১৬৯ জন যাত্রী ও ৭ কেবিন ক্রু ছিলেন।
১৭৬ যাত্রী নিরাপদ (South Korea Plane Crash)
নিরাপত্তাকর্মীরা কেবিন ক্রু-সহ ১৭৬ আরোহীকে বিমান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী সিউল থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত বুসান শহরের গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হংকংয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা এয়ার বুসানের একটি বিমানের পেছনের অংশে আগুন ধরে যায়(South Korea Plane Crash)। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা বিমানের ১৭৬ আরোহীর সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে আনেন। এই ঘটনায় কোনও যাত্রী হতাহত হননি বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:Putin Wealth: জ়ুকেরবার্গের থেকেও বেশি সম্পত্তি পুতিনের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?
হংকংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এয়ার বুসান বিমানের এয়ারবাস এ৩২১-এর দক্ষিণ-পূর্ব বুসানের গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হংকংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। মোট ১৬৯ জন যাত্রী এবং সাতজন বিমান কর্মীকে নামিয়ে আনা হয়েছে(South Korea Plane Crash)।
তিন যাত্রী সামান্য আহত
বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে, বিমানের পিছনের অংশে আগুন লেগেছে। জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা জানিয়েছে, সরিয়ে নেওয়ার সময় তিন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩১ মিনিট নাগাদ আগুন সম্পূর্ণরূপে নিভে যায়।
জেজু এয়ারের বিমান দুর্ঘটনা
প্রায় এক মাস আগে, ২৯ ডিসেম্বর, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে সবথেকে বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের বিমানটি জরুরি অবতরণ করেছিল মুয়ান বিমানবন্দরে। অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে সেটি রানওয়ের শেষে থাকা একটি কংক্রিটের কাঠামোয় ধাক্কা মেরেছিল। সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল উড়ানটি। ১৮১ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যর মধ্যে, দু’জন ছাড়া বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছিল