ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘সংসদে নিয়মিত উপস্থিতই থাকেন না। অথচ ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিশেষ অধিবেশ ডাকার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি (Special Parliament session)।’ এভাবেই বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ঘোষণার পরই রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলা, অপারেশন সিঁদুর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত সংঘর্ষ বিরতির বিষয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন।
বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের সমালোচনা (Special Parliament session)
এই আবহে কংগ্রেস সাংসদের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন না কেন রাহুল গান্ধী সংসদে বিশেষ অধিবেশনের (Special Parliament session) দাবি করছেন।তাঁর কথায়, ‘আমি বুঝতে পারছি না কেন রাহুল গান্ধী সংসদে বিশেষ অধিবেশন করতে চান, তিনি তো সংসদের নিয়মিত অধিবেশনেই উপস্থিত থাকেন না। যখন সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে বিতর্ক হয়, তখন তিনি এবং তার বোন অনুপস্থিত থাকেন।’
বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর চিঠি (Special Parliament session)
বিশেষ অধিবেশন ডাকার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Special Parliament session)। চিঠিতে রাহুল লেখেন, ‘আমি অবিলম্বে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য বিরোধীদের সর্বসম্মত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করছি। জনগণ এবং তাদের প্রতিনিধিদের জন্য পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলা, অপারেশন সিঁদুর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সম্মিলিত সংকল্প প্রদর্শনের একটি সুযোগও হবে। আমি বিশ্বাস করি যে আপনি এই দাবিটি গুরুত্ব সহকারে এবং দ্রুত বিবেচনা করবেন।’
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার প্রস্তাব (Special Parliament session)
শুধু রাহুল গান্ধী নন, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও একই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তিনি জানান, ‘গত ২৮ এপ্রিলের চিঠিতেও দুই কক্ষে বিশেষ অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।’ এবারও তিনি লোকসভার বিরোধী নেতার আবেদনকে সমর্থন জানিয়ে ফের বিশেষ অধিবেশনের দাবি করেছেন।অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ স্মরণ করিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কী করা উচিত। তিনি মনে করেন, তাঁর দাবিগুলি আগের তুলনায় সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার পর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে একটি সর্বদল বৈঠকের আহ্বান জানান জয়রামও।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতা (Special Parliament session)
গত শনিবার বিকেলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করেছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।কিন্তু ভারতীয় বিদেশ সচিবের সাংবাদিক বৈঠকের আগেই ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ায় উভয় দেশকে অভিনন্দন।’