ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কখনও এনডিএ সরকারের বিদেশনীতির প্রশংসা। কখনও আবার প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা।এরপর থেকেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে(Shashi Tharoor)। তিনি নিজে থেকে দল ছাড়বেন, নাকি দল তাঁকে বহিষ্কার করবে, আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে দুই সম্ভাবনা। আর সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কংগ্রেস সভাপতির হুঁশিয়ারি (Shashi Tharoor)
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তারপর ভারতের পাল্টা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল কেন্দ্র(Shashi Tharoor)। এই কর্মসূচিতে কংগ্রেস থেকে ছিলেন সাংসদ শশী থারুর। আর এই সফরে একাধিক দেশ থেকে থারুরের মোদী-বন্দনা শোনা গিয়েছিল। এমনকি ভারতে ফিরেও কেন্দ্রীয় সরকারের দরাজ প্রশংসা করেন কংগ্রেস নেতা। এবার শশী থারুরের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্পষ্ট ইঙ্গিত দলেন যে, দল হয়তো আর থারুরের অবস্থান মেনে নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য সবার আগে দেশ। কিন্তু কারও কারও জন্য মোদীই সবার আগে। যার যা খুশি সে লিখতেই পারে।’ তাঁর এই কটাক্ষে থারুরকে কার্যত মোদীবাদী বলে অভিহিত করা হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।

শশী থারুরের মোদী-বন্দনা (Shashi Tharoor)
আসলে সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে থারুর লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্মশক্তি, দৃষ্টিভঙ্গির গতিশীলতা এবং বৈশ্বিক মঞ্চে সক্রিয় উপস্থিতির মানসিকতা ভারতকে আজ আন্তর্জাতিক স্তরে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে(Shashi Tharoor)। এই নেতৃত্ব শুধু প্রশাসনিক নয়, কূটনৈতিক শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ এই বক্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। কংগ্রেসের অন্দরে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও থারুরের মত স্পষ্ট , ‘জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে রাজনৈতিক পার্থক্য নয়, ঐক্যই শেষ কথা।’ তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে কূটনৈতিক সফর ছিল দেশের সংকল্প এবং বিশ্বকে সঠিক ভাবে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার একটি মুহূর্ত। এর ফলে বোঝা যায়, ভারত ঐক্যবদ্ধ থাকলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্পষ্ট এবং দৃঢ় ভাবে নিজেদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা যায়।
আরও পড়ুন-India’s Pride: মহাকাশে পৌঁছে গেলেন ভারতের গর্ব! কান্নায় ভাসলেন বাবা-মা
বিতর্কের শশী থারুর (Shashi Tharoor)
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর বৈঠকের প্রশংসা করেছিলেন থারুর(Shashi Tharoor)। তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্নও উঠেছিল। সেই সময় তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে সব সময়েই প্রস্তুত। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিদেশে গিয়ে তিনি এসব উপলব্ধি করেছেন। এদিকে, থারুরের মন্তব্য কংগ্রেসে চরম অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে। সেই থেকেই শুরু হয় সমালোচনা।শুধু নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে কেরলে বাম জোট শাসিত সরকারের ‘প্রশংসা’ করেও কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন শশী থারুর।

আরও পড়ুন-Shah Rukh Khan: ‘ইউ হি চলাচল…,’ শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ যাত্রার সঙ্গী শাহরুখ খান
শশী থারুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ (Shashi Tharoor)
উল্লেখ্য, শশী এআইসিসি সদস্য। এক সময় কংগ্রেস সভাপতির পদপ্রার্থী হিসেবে নাম তুলেছিলেন থারুর(Shashi Tharoor)। সেই শশী থারুর বর্তমানে দলের অবস্থান থেকে এত দূরে সরে গেছেন যে, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।যদিও তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগদানের কোনও তাড়না তাঁর নেই।তবে আগামী দিনে তিনি যদি হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে লাফিয়ে পড়েন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
