ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের জন্য (Spy Arrest) গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাত ও রাজস্থানের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার গুজরাতের কচ্ছ থেকে সহদেব সিংহ গিল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে সন্ত্রাসদমন শাখা। সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তিনি নৌসেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচার করতেন।
আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Spy Arrest)
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজস্থানের ডিগ থেকে কাশিম (Spy Arrest) নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। রাজস্থানের অপরাধ দমন শাখা এবং গোয়েন্দারা মিলে অভিযানে তার ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করছে। অভিযোগ, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন কাশিম পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। গোয়েন্দারা তাঁর ফোনে পাঠানো ও প্রাপ্ত কল রেকর্ডের মাধ্যমে বিশদ তথ্য খুঁজছেন, যাতে বোঝা যায় তিনি কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং কী ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করেছিলেন।
পাকিস্তানে গিয়েও থাকতে পারে বলে সন্দেহ (Spy Arrest)
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধু ফোন যোগাযোগ নয়, কাশিম পাকিস্তানে গিয়েও (Spy Arrest) থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁর ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে কোনও গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য আইএসআই-এর হাতে পৌঁছেছে কিনা তা জানা যায়। এই গোয়েন্দা তদন্ত এখনো চলছে।
নিয়মিত যোগাযোগ
চরবৃত্তির এই ঘটনায় পূর্বেও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। চলতি মাসের শুরুতেই রাজস্থানের জয়সলমের থেকে পাঠান খান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঠান খান ২০১৩ সালে পাকিস্তানে গিয়ে আইএসআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য আইএসআই-কে সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ।
দিল্লি থেকে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার
চরবৃত্তির দায়ে ইতিমধ্যে পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি থেকে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোপন সংস্থার সঙ্গে সক্রিয় যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি গুজরাত ও রাজস্থান থেকে গ্রেফতারকৃত সহদেব এবং কাশিম এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
গুপ্তচরবৃত্তি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ
সরকারি আধিকারিকদের মতে, এমন গুপ্তচরবৃত্তি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তথ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। পাকিস্তান এমন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করা হয়। তাই গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Delhi Rain Forecast: ঝড়-বৃষ্টিতে প্লাবিত দিল্লি, বিমান চলাচল ও যানজটের ত্রাস!
এই ঘটনাগুলো থেকে স্পষ্ট যে, দেশের সুরক্ষা ও গোপন তথ্য রক্ষা করতে একাধিক পর্যায়ে অভিযান চলমান রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি, সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখা দিলে তা জানাতে বলা হয়েছে। আইএসআই-এর মতো পাকিস্তানভিত্তিক গুপ্তচর সংস্থার মোকাবিলায় কঠোর এবং যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।