ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তেলঙ্গানার শ্রীসৈলাম সুড়ঙ্গে (Srisailam Tunnel Collapsed) আটকে পড়া আট শ্রমিকের উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও এই শ্রমিকদের উদ্ধারের কোনো সাফল্য মেলেনি।
বাড়ছে উদ্বেগ! (Srisailam Tunnel Collapsed)
সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদাজলে ভরা পরিবেশ এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন (Srisailam Tunnel Collapsed) হওয়ায় উদ্ধারকাজ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। শ্রমিকরা সুড়ঙ্গের ভেতরে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গে প্রবেশ করলেও কাদাজলের কারণে এগোতে পারছেন না। শ্রমিকদের নাম ধরে ডাকা হচ্ছে, কিন্তু কোনো সাড়া মিলছে না।
জটিল হচ্ছে উদ্ধারকার্য (Srisailam Tunnel Collapsed)
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য (Srisailam Tunnel Collapsed) বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) উদ্ধারকাজে নেমেছে। এনডিআরএফের ১৪৫ জন এবং এসডিআরএফের ১২০ জন সদস্য এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও, উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীকেও সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন
সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে এবং জল বার করার জন্য শক্তিশালী পাম্প আনা হচ্ছে। তবে, সুড়ঙ্গের ভিতরের পরিবেশ অত্যন্ত বিপজ্জনক। অনেক অংশ ধসে গিয়েছে এবং কাদাজলে ভরা থাকায় উদ্ধারকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেছে।
এখনও আটকে শ্রমিকরা
শ্রমিকদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁরা শ্রীসৈলম বাঁধের একটি খাল বরাবর কাজ করছিলেন। খরাপ্রবণ এলাকায় কৃষিকাজে জলসেচের সুবিধার জন্য পাহাড় ফুটো করে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গের প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশ ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর দফতরের মন্ত্রী উত্তমকুমার রেড্ডিকে উদ্ধারকাজ তদারকির জন্য ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। উদ্ধারকাজে নিযুক্ত দলগুলি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। সুড়ঙ্গের ভিতরের পরিবেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উদ্ধারকারীদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

শ্রমিকদের পরিবারেও বাড়ছে উদ্বেগ!
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং শ্রমিকদের পরিবারবর্গ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছেন। উদ্ধারকারীরা আশা করছেন, শীঘ্রই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তবে, সুড়ঙ্গের ভিতরের পরিবেশ এবং কাদাজলের কারণে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।