ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Recruitment Case) মাধ্যমে হাইস্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন বহু প্রাথমিক শিক্ষক। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে সেই নিয়োগ। এর ফলে হাওড়া জেলার প্রায় ৬০ জন শিক্ষক আবার তাঁদের পুরনো প্রাথমিক স্কুলের চাকরিতে ফিরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকেরা।
পুরনো জায়গায় ফিরতে আগ্রহী (SSC Recruitment Case)
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ২৫ জন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষক লিখিত ভাবে আবেদন (SSC Recruitment Case) করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আগে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, পরে এসএসসি মাধ্যমে উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়োগ পান। এখন চাকরি হারিয়ে তাঁরা আবার নিজেদের পুরনো জায়গায় ফিরতে আগ্রহী।
আগামী দিনে বাড়বে সংখ্যা (SSC Recruitment Case)
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, “যদি রাজ্য শিক্ষা দপ্তর নির্দেশ দেয়, তাহলে আমরা এই শিক্ষকদের পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু করব। বর্তমানে যাঁরা ফিরে আসতে চাইছেন, তাঁদের সংখ্যা ৬০ হলেও, আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আমরা মনে করছি।”
সুপ্রিম কোর্টের রায়
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, যে শিক্ষকরা ‘যোগ্য’ এবং চাকরি যাওয়ার আগে অন্য কোনও সরকারি পদে কর্মরত ছিলেন, তাঁরা চাইলে আবার তাঁদের পুরনো সরকারি চাকরিতে ফিরতে পারবেন। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে আদালতের মত।

তথ্য কি এখনও সংরক্ষিত আছে?
এখন প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা একবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে হাইস্কুলে গিয়েছিলেন, তাঁদের তথ্য কি এখনও সংরক্ষিত আছে? এই বিষয়ে কৃষ্ণ ঘোষ জানান, “সাধারণত কেউ চাকরি ছাড়লে সেই তথ্য আমাদের দপ্তর থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার যদি পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়, তাহলে আমাদের সেই তথ্য সংগ্রহ করে ফের নথিভুক্ত করতে হবে।”
আরও পড়ুন: Teachers Protest: ‘আমার বাবা যোগ্য শিক্ষক’—কোলের শিশুর হাতে প্ল্যাকার্ড, বাবার হাতে ওএমআর শিট
শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত
তাঁর কথায়, পুনর্বহাল হলে ওই শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সকল সুবিধাই পাবেন। অর্থাৎ, বেতন কাঠামো থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি সুবিধাও দেওয়া হবে ঠিক আগের মতোই। তবে এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্ভর করছে শিক্ষা দপ্তরের উপর। রাজ্যের নির্দেশ ছাড়া জেলা স্তরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।
স্থায়ী জীবনে ফেরার সুযোগ!
চাকরি হারানো শিক্ষকরা আশায় বুক বাঁধছেন যে অন্তত তাঁদের পুরনো চাকরিতে ফিরতে পারলে আবার স্থায়ী জীবনে ফেরার সুযোগ মিলবে। এখন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন শিক্ষক সমাজ। একাংশের মতে, এটি রাজ্য সরকারের কাছে একটি মানবিক এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জও বটে।