ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের (SSC Recruitment Case) পরে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ফের নানারকম চিত্র ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যাঁরা ‘দাগি নন’ বা ‘টেন্টেড’ নন, তাঁরা আপাতত স্কুলে যেতে পারেন। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু ‘যোগ্য’ আর ‘অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় একটা বড় অংশের চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাই স্কুলে যেতে চাইছেন না। এর জেরে একাধিক স্কুলে পঠনপাঠনের উপরও প্রভাব পড়ছে।
ধর্নার আয়োজন (SSC Recruitment Case)
‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐক্য মঞ্চ’ আগেই জানিয়েছিল, যতক্ষণ না (SSC Recruitment Case) স্পষ্টভাবে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য, সেই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা স্কুলে যাবেন না। সংগঠনের সদস্য মেহবুব মণ্ডল জানান, সোমবার এসএসসি ভবনের সামনে ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের দিয়েই চলছে ক্লাস (SSC Recruitment Case)
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে শুরু করে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান—বেশিরভাগ জেলায় দেখা যাচ্ছে (SSC Recruitment Case) একই চিত্র। অনেক শিক্ষক স্কুলে যাননি, আবার কেউ কেউ গেলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। কোথাও কোথাও দেখা গেছে, বিএড প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের দিয়েই চলছে ক্লাস।
সরকার নির্দেশ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
তবে ব্যতিক্রমী কিছু উদাহরণও মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের এক স্কুলে ন’জন চাকরি হারানো শিক্ষকই শনিবার কাজে যোগ দেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, এখন সবাই ক্লাস করাচ্ছেন, সরকার নির্দেশ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হাওড়ার একাধিক স্কুলেও দেখা গেছে, চাকরিহারা শিক্ষকরা ক্লাস নিয়েছেন। কোথাও জীবন বিজ্ঞানের সমস্যা মিটেছে, কোথাও আবার ইতিহাসের ক্লাস চলছে নিয়মমতো।

‘অযোগ্য’ চিহ্নিত সহকর্মীর সঙ্গে কাজ করতে চান না
তবে বিভাজন তৈরি হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা মহলেই। হুগলির বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাই স্কুলের হিন্দি মাধ্যম বিভাগের কিছু ‘যোগ্য’ শিক্ষক প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত সহকর্মীর সঙ্গে কাজ করতে চান না। একজন এমনকি বলেছেন, “উনি এলে বার করে দেব।” প্রধান শিক্ষকও জানান, ওই ইতিহাসের শিক্ষিকা আগে থেকেই ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত। যদিও ওই শিক্ষিকার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সব মিলিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তহীনতার আবহ। ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এই অনিশ্চয়তা যে চলবে, তা স্পষ্ট। আর তার প্রভাব পড়ছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরেও।